বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যাংক খাতে অনিয়ম তদন্তে কমিশন চেয়ে উকিল নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ব্যাংকিং খাতে চলমান অনিয়ম তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পাঁচ সচিবকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে ব্যাংকিং খাতে বিভিন্ন অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, বিভিন্ন প্রাইভেট ও পাবলিক ব্যাংকগুলোতে ব্যাংক ঋণের ওপর সুদ মওকুফ সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত এবং তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গতকাল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই নোটিস পাঠান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও নোটিসপ্রাপ্ত অন্য পাঁচজন হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয় সচিব। এদিকে, ২১ জানুয়ারি ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘বেপরোয়া খেলাপি ঋণ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের কয়েক দিনের মাথায় আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই লিগ্যাল নোটিস পাঠালেন। তিনি বলেন, নোটিস অনুসারে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিষয় তদন্ত ও প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৯৫৩ সালের ইনকোয়ারি কমিশন অ্যাক্টের অধীনে একটি কমিশন গঠনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, নোটিসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, সিটি ব্যাংক এন এ বাংলাদেশের সাবেক সিইও মামুন রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিকে কমিশনে রাখতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আদালতের দারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর