দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেওয়ার ঘটনায় দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতিনিধি ও আইনসচিবের প্রতিনিধিকে তলব করেছে হাই কোর্ট। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়। সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় গ্রেফতার পাটকলশ্রমিক জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিস্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলেছে হাই কোর্ট। গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদ নজরে এলে আদালত এ আদেশ দেয়। সংবাদটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রকৃত আসামিকে খুঁজে বের না করে নিরীহ শ্রমিক জাহালমকে গ্রেফতারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতিনিধি এবং আইনসচিবের প্রতিনিধিকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম।
তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। জাহালমের কারাবাসের তিন বছর পূর্ণ হবে ৬ ফেব্রুয়ারি। দুদক এখন বলছে, জাহালম নিরপরাধ প্রমাণিত হয়েছেন। তদন্ত করে একই মত দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।