শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য খাতের ১১ দুর্নীতি

প্রতিরোধে ২৫ দফা সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে জমা দুদক চেয়ারম্যানের, ২৩ বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ১১টি উৎস চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সঙ্গে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে ২৫ দফা সুপারিশসংবলিত একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে হস্তান্তর করেছেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দফতরে তিনি এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদন হাতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ এক প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, আগামী দিনগুলোয় স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে। এলিগেশন (অভিযোগ) যেগুলো আছে, দুর্নাম যেগুলো আছে, ইনশা আল্লাহ আগামীতে ঘোচাব। সেই সঙ্গে দুদকের দেওয়া সুপারিশগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।’ তিনি বলেন, সরকার সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। দুর্নীতি থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই দুর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ভালো লোক থাকলে ভালো যন্ত্রপাতি কেনা যায়। এজন্য কিছু লোককে ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হবে না। সব ধরনের কেনাকাটা হবে নিড বেইজড (প্রয়োজনসাপেক্ষে)। চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে সেল গঠন করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

দুর্নীতির ১১ উৎস : ক্রয়, সেবা, নিয়োগ, বদলি, পদায়ন, ইকুইপমেন্টের ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহ, রোগী ভর্তি, টেন্ডার ইত্যাদি। দুদক মনে করে, স্বাস্থ্য খাতের ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে অপারেশন থিয়েটারের বৃহৎ যন্ত্রপাতি- সব ধরনের কেনাকাটায় ব্যাপক হারে দুর্নীতি সংঘটিত হয়। এ ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া, দরপত্র আহ্বান, দরদাতা কোম্পানি নির্দিষ্টকরণ ও চূড়ান্তকরণে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়। এ ছাড়া ডাক্তারদের বদলি এবং মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা পিয়ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রেও কয়েক ঘাটে দুর্নীতি সংঘটিত হয়। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও একশ্রেণির শক্তিশালী দালাল জড়িত। হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহের ক্ষেত্রেও ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন নতুন মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কিনে তা ইচ্ছা করে বসিয়ে রেখে নষ্ট করা হয়। পরে তা নষ্ট বা ব্যবহারের অনুপযোগী দেখিয়ে আবার নতুন করে কেনার দরপত্র আহ্বান করে নিজেদের পছন্দের কোম্পানিকে সরবরাহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দরপত্র আহ্বান, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোকে প্রভাবিত করা হয় নানাভাবে।

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের উল্লেখযোগ্য সুপারিশ : তথ্যবহুল সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, সব ধরনের কেনাকাটায় ইজিপিতে টেন্ডার অনুসরণ, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুতে নিজস্ব চিকিৎসক ও কর্মচারী থাকা বাধ্যতামূলক করা, বদলির নীতিমালা প্রণয়ন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা, ডাক্তারদের ইন্টার্নশিপ এক বছরের পরিবর্তে দুই বছরে উন্নীত করা, নতুন চিকিৎসকদের উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন বাধ্যতামূলক করা, পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসির সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা ইত্যাদি। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে স্বাস্থ্য খাত শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব বলে মনে করে দুদক। প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করে যেসব জায়গায় দুর্নীতি ঘটে বলে তথ্য রয়েছে সেসব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিবেদনের কাজ শুরু হয়েছে ২০০৮ সালে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ২৫টি টিম গঠন করে দুদক বিভিন্ন বিভাগকে মূল্যায়নের জন্য। এটি এরই একটি অংশ। দুদক ইতিপূর্বে এনবিআর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্য কিছু মন্ত্রণালয়ের সাত-আটটি রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, কর্তৃপক্ষ রিপোর্টগুলো সাদরে গ্রহণ করেছেন। সেখানে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন ও প্রতিকারমূলক কার্যক্রম তারা গ্রহণ করবেন। ফলে এটি দুর্নীতি দমনে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’ সরকারের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর কথা উল্লেখ করে দুদক কমিশনার বলেন, ‘এবারের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোয় দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার (জিরো টলারেন্স) কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দুদকও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার-ঘোষিত শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করবে এবং করছে। দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’ কমিশনার বলেন, ‘এই রিপোর্টের মধ্যে আমাদের টিম শনাক্ত করেছে কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্নীতি হওয়ার আশঙ্কা আছে সে বিষয়গুলো। সেই আশঙ্কাগুলো কীভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এখানে ১১টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে দুর্নীতির ক্ষেত্র রয়েছে সেগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ২৫টি সুপারিশ করা হয়েছে। সেই পরামর্শগুলো যদি মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণ করা হয়, তবে নিঃসন্দেহে দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কাজে ভালো ফল দেবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যদি দুর্নীতি মোকাবিলা করতে না পারি, তবে আমাদের এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমার বিশ্বাস, আমাদের প্রতিটি অনুসন্ধানী মতামত তাদের কাছে সাদরে গৃহীত হবে। সে অনুযায়ী কাজ করলে আগামী দিনে বলতে পারব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অধিকতর ভালো অবস্থানে আছে।’ প্রতিবেদনের সুপারিশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দুদক কমিশনার বলেন, ‘আমরা বাইরে থেকে দেখি, অনেক মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন নীতিমালা থাকে না। অন্য অনেক মন্ত্রণালয়ের মতো এখানেও পদায়ন নীতিমালা নেই। পদায়নের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি যাতে দীর্ঘকাল অবস্থান করতে না পারে। এভাবে থাকলে একটি সংঘবদ্ধ দল তৈরি হয়ে যায়। এটা যাতে না করা হয়। সঠিক স্থানে সঠিক ব্যক্তিকে যাতে পদায়ন করা হয় সেই সুপারিশ করা হয়েছে।’ মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘অনেকে (চিকিৎসক) গ্রামে যেতে চান না। পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রামে কাজ করার শর্ত আরোপ করার কথা আমরা বলেছি। গ্রামে কাজ না করলে ভবিষ্যতে তা যেন পদোন্নতির ক্ষেত্রে অন্তরায় হয় সেই পরামর্শ আমরা দিয়েছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনে হয় এসবের সঙ্গে দ্বিমত করে না, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি রয়েছে। সেবাটা যাতে টাইম বাউন্ড হয় আমরা সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। সময় বেঁধে দিলে সেবাগ্রহীতা জানতে পারবেন, কোন কাজের জন্য তার কত দিন অপেক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপারে অনেক সময় কথা আসে। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ আছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো অনেক সময় করা যায় না, আমাদের কিছু অনৈতিক কার্যকলাপ থাকে। সেগুলো যাতে না হয়, মানুষকে যেন অহেতুক খরচের মধ্যে ফেলা না হয়, সে বিষয়ে আমরা খবরদারি করার চেষ্টা করেছি। বলেছি সার্ভিলেন্স টিম যাতে গঠন করা হয়।’ দুদক কমিশনার প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘অনেকে দালালের খপ্পরে পড়েন। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে- গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মচারীরা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে কিছুটা লাভবানও হন। এমন অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল সিসিটিভির আওতায় আনা যেতে পারে। কারা এগুলো করছে তাদের যাতে ধরা যায়।’ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর গঠনের মাধ্যমে সেবার মান বাড়ানোর বিষয়েও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান কমিশনার। তিনি বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসককের পদোন্নতি যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে দেওয়া যায়, এটা নিয়ে যাতে মানুষের মনে কোনো প্রশ্নের উদ্রেক না হয়, সে ব্যাপারেও আমরা কিছু পরামর্শ দিয়েছি। সরকারি চিকিৎসকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটা অথরিটি হতে পারে। বেসরকারি মেডিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর মিলে সমন্বিতভাবে যাতে চিকিৎসকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।’ দুদক কমিশনার বলেন, ‘কেনাকাটার ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের কথা শোনা যায়। যে মানের জিনিস কেনার কথা তা কেনা হয় না। এ ক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দিয়েছি, ক্রয় কমিটিতে যাতে পেশাদার লোক রাখা হয়। কেনার পর রিসিভ করার সময় যেন পেশাদার ও যোগ্য লোক দিয়ে তা করানো হয়। কেনার ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে তা অনুসরণ করলেও কেনাকাটা নিয়ে মানুষের সন্দেহ দূর হবে এবং ভালো জিনিস কেনা যাবে।’

এমন তদবির আসে উপেক্ষা করতে কষ্ট হয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পদোন্নতি তো তারই হওয়া উচিত যে যোগ্য। সেই ভিত্তিতেই আমরা এখন থেকে পদোন্নতি দেওয়ার চেষ্টা করব। ‘বদলি পদোন্নতির ক্ষেত্রে মাফিয়া চক্র’ থাকার কথা বলেছেন দুদকের কমিশনার। এ বিষয়টিও আমরা দেখব। কিন্তু আপনারা জানেন, আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি, সেখানে তদবির করার লোক আবার অনেক। এমন সব জায়গা থেকে তদবির আসে যা উপেক্ষা করতে কষ্ট হয়। যেখানে যাকে পোস্টিং দেওয়া দরকার, ট্রান্সফার করা দরকার, যার যেখানে প্রয়োজন সেখানে সে যাবে। তয়-তদবিরে পোস্টিং হবে না। গতকাল স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত ও তা প্রতিরোধে ২৫ দফা সুপারিশ সংবলিত দুদক প্রতিবেদন গ্রহণ করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রীর হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেন দুদকের কমিশনার মোজাম্মেল হক খান।

স্বাস্থ্যের ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলি : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য অধিদফতরের। গতকাল সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (পার-২) এ  কে এম ফজলুল হক খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এতে বলা হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা বদলি করা কর্মস্থলে যোগ না দিলে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি পেয়েছেন বলে গণ্য হবে। চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যালয়ে কতিপয় দুর্নীতিবাজ, স্বেচ্ছাচারী ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির হাত শক্ত করছেন, যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের সুশাসনের ক্ষতি করছে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন দুর্নীতি করে। দুদকে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগ জমা হয়েছে, যা আমাদের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। চিঠিতে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য বর্তমান কর্মস্থল থেকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলির ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। ওই ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী প্রধান (পরিসংখ্যানবিদ) মীর রায়হান আলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সহকারী সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমান, উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ফয়জুর রহমান, প্রধান সহকারী মাহফুজুল হক, কম্পিউটার অপারেটর আজমল খান, ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান সহকারী-কাম-হিসাবরক্ষক আবদুল কুদ্দুস, সিলেট স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী নুরুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা গউস আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আমান আহমেদ, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর নেছার আহমেদ চৌধুরী, খুলনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেন, অফিস সহকারী মো. মাসুম, প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন, বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মো. রাহাত খান, উচ্চমান সহকারী জুয়েল, রংপুর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আজিজুর রহমান, স্টেনোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা  জাহাঙ্গীর আলম।

সর্বশেষ খবর