শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিশুদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিশুদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

শিশুদের দুরন্তপনা আর বইয়ের প্রতি ভালোবাসা মেলার অষ্টম দিনে ভিন্নমাত্রা এনেছে। ডিজিটাল উৎকর্ষতার এই যুগে ভিডিও গেমে বুঁদ শিশুরা মেলায় আসার পর বাঙালির ঐতিহ্য যেন ফুটে উঠেছে মেলাজুড়ে। গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহরে শিশুদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে শিল্পের স্রোতে ভেসে যায় স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। দুই  ঘণ্টাব্যাপী শিশুপ্রহরে সিসিমপুরে ইকরি-বিকরি-টুকটুকি আর হালুমের সঙ্গে দুরন্তপনায় মেতে ওঠার পাশাপাশি সেসবের সঙ্গে ছবি তুলে মেলা থেকে স্মৃতি নিয়ে বের হয় শিশুরা। আর এই সময়টাতে বাবা-মায়ের কাছ থেকে নিজের প্রিয় বইটি আদায় করে নেয় ছোট্ট সোনামণিরা। এদিন বাবা-মায়ের হাত ধরে মিরপুর থেকে মেলায় আসে মণিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ইংলিশ ভার্সনের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছোট্ট শিশু ফারিয়াজ মায়ান হক। দুষ্টুমি শেষে বাবার কাছে বইয়ের আবদার করে এই খুদে পাঠক। শিশু মায়ান বলে, ‘টুকটুকির সঙ্গে ছবি তুলেছি, বই কিনেছি। মেলায় এসে আমার খুব ভালো লাগছে।’ তবে গতকাল দ্বিতীয় শিশুপ্রহরে মেলায় এসেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। শিশুপ্রহর ঘুরে শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূতকে এত কাছে পেয়ে শিশুদের পাশাপাশি উচ্ছ্বাসে কিছুটা মেতে ওঠেন অভিভাবকরাও। অভিভাবক ও শিশুদের আবদার রক্ষা করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে ছবি তুলে রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারও ভেসে যান আনন্দের স্রোতে। এ সময় আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, ‘ইউএসএআইডির সহযোগিতায় সিসিমপুর চলছে। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান; যা নিউইয়র্কের কিছু কার্টুন চরিত্রের আদলে সৃষ্টি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ শিশুর কাছে এটি পৌঁছে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটি শুধু টিভি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাও। এর মাধ্যমে শিশুরা ভাষা, নৈতিকতা ও মনন সম্পর্কে জানতে পারে। আমরা আমাদের সময়ে থাকা কার্টুন চরিত্রের সঙ্গে বড় হয়েছি, আর এখন আমাদের শিশুরা বড় হচ্ছে হালুম-ইকরি-টুকটুকির সঙ্গে।’

সর্বশেষ খবর