শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের সদস্যদের গাড়িবোমা হামলায় বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) ৪০ জওয়ানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে পাকিস্তানে আশ্রিত জঙ্গির কাশ্মীরে গাড়িবোমা হামলায় সিআরপিএফ জওয়ান হত্যা করায় পাকিস্তানকে দেওয়া এ যাবৎকালের সর্বাপেক্ষা পছন্দের দেশের বাণিজ্যিক সুবিধা (মোস্ট ফেভার্ড নেশন) প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এ তথ্য দেন। ১৯৯৬ সাল থেকে পাকিস্তানকে এই সুবিধা ভারত দিয়ে আসছে। পাকিস্তান এখনো পর্যন্ত সেই সুবিধা ভারতকে দেয়নি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি কঠোর ভাষায় হামলার নিন্দা করে বলেছেন, এর জন্য জঙ্গিদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। তিনি জানান, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। তিনি সরাসরি কোনো সামরিক অভিযানের কথা প্রকাশ্যে বলেননি। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার দেশের সব রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে ডেকেছেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসসহ সব রাজনৈতিক দল বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এ সময়ে সবাই রাজনৈতিক বিবাদ ভুলে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়াবে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই সমর্থন করা হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত করেছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে জম্মু-কাশ্মীরে বৃহস্পতিবারের হামলাটিই সম্ভবত সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরিতে সেনাবাহিনীর ছাউনিতে জঙ্গি হামলায় ১৯ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর  আগে ২০০১ সালে কাশ্মীর বিধানসভায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৩৮ জনের।

শেখ হাসিনার চিঠি, মোদিকে সমবেদনা : কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে ৪০ জন ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে সমবেদনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার বার্তা দিল্লির হাইকমিশন সাউথ ব্লকে পৌঁছে দেয়। জার্মানি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বার্তায় লিখেছেনÑ ‘বাংলাদেশ সব সময়েই সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে। এবং এই বিপদকে শূন্য সহ্য করার পক্ষে। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য বাংলাদেশ ভারতসহ আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সহযোগী।’

তিনি এও লিখেছেন যে, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা           করছি। বাংলাদেশের সরকার এবং জনতা এই দুঃখের সময়ে আপনাদের পাশে আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর