শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডাকসু ভোট সুষ্ঠু হলে রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে

মাহমুদ আজহার

ডাকসু ভোট সুষ্ঠু হলে রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে

খায়রুল কবীর খোকন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) সুষ্ঠু ভোট হলে দেশের জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবীর খোকন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে এটা অবশ্যই ভালো দিক। এতে জাতীয় রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু এ নির্বাচন যদি প্রহসনের হয়, তাহলে শুধু ডাকসুই নয়, জাতীয় রাজনীতিও ম্লান হয়ে যাবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা ডাকসু নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ভোট উৎসবকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালায়, তাহলে ডাকসুর ইতিহাসেও তা কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হবে।’

সদ্যকারামুক্ত সাবেক এই ছাত্রনেতা গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ফোনালাপে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনকে অবশ্যই আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। কিন্তু এজন্য উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশের মাধ্যমে ভোট করতে হবে এতে আমরা হতাশ হচ্ছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা বলেও মনে করছি। এজন্য অবশ্যই অভিনন্দন জানাতে হবে ওয়ালিদ আশরাফ ও কিছু ছাত্রছাত্রীর ভূমিকাকে। তারাই ডাকসু কর্তৃপক্ষকে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে সক্ষম হয়েছেন, ছাত্র সংসদ সচল করা জরুরি।’ বিএনপির এই যুগ্মমহাসচিব বলেন, ‘ডাকসু নিয়ে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের দাবি-দাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদলসহ অন্যান্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের দাবি-দাওয়াকে আমলে নেওয়া হয়নি। নির্বাচন পরিচালনায় শুধু সরকারি দলের সমর্থকদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাদা দলের কোনো শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতেই বোঝা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।’খায়রুল কবীর খোকন বলেন, ‘ছাত্রদলসহ ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠনই একাডেমিক ভবনে ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শুধুই ছাত্রলীগের দাবি আমলে নিয়ে হলে হলে ভোট করার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। হলগুলো থেকে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য সব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এতে বোঝার বাকি থাকে না, ডাকসু আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। ডাকসুকে অপবিত্র করার পাঁয়তারা চলছে।’ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে এখনো সহাবস্থান নিশ্চিত হয়নি। হলে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। অন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপরও হামলা হচ্ছে। এতে ভোট উৎসবের পরিবর্তে শঙ্কা আর সংশয় বিরাজ করছে। তাহলে কীভাবে সুষ্ঠু ভোট হবে? আমি এখনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলব, ডাকসুতে ভোটের পরিবেশ তৈরি করুন। সবার সহাবস্থান নিশ্চিত করুন। নইলে আপনাদের কলঙ্কিত ইতিহাস লেখা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর