শিরোনাম
শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কানাডায় পাড়ি দিলেন বিএনপি নেতা শোকরানা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

কানাডায় পাড়ি দিলেন বিএনপি নেতা শোকরানা

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বগুড়া জেলা কমিটির উপদেষ্টা স্বনামখ্যাত রাজনীতিক মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শোকরানা। দল ত্যাগ করে পাকাপাকি বাস করার জন্য আজ (শনিবার) কানাডা যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নয়, রাজনীতি ছেড়ে অবসরে যাচ্ছি।’ শোকরানার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ শোকরানা রাজনীতি ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জানা গেছে, সাবেক যুবলীগ নেতা শোকরানা ১৯৯৯ সালে তারেক রহমানের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। স্বাধীনতার আগে শোকরানা ছিলেন বগুড়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তুখোড় নেতা। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন রাজনীতির আড়ালে থাকার পর আশির দশকে ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হন। বগুড়ার এই সফল ব্যবসায়ী বিএনপিতে যোগদানের পর তিনি দলের সুসময় ও দুঃসময়ে পাশে ছিলেন। ২০০৭ সালে ১/১১ সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি- সোনাতলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপি প্রার্থী শোকরানা হেরে যান। এই পরাজয়ের পেছনে ওই এলাকায় দলীয় এক নেতার কারসাজি ছিল বলে বগুড়ার বিএনপিপাড়ায় রটনা চলে। দলের ‘দুঃসময়ের কা ারি’ হিসেবে পরিচিত এই নেতা একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনে দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এ আসনে বিএনপি মনোনীত করে দলের সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলামকে। ‘আমি অবহেলিত’- এই বোধে তাড়নায় শোকরানা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে বগুড়ার ছিলিমপুরে তার মালিকানাধীন ফোর স্টার হোটেল ‘নাজ গার্ডেন’ ও শহরের বাদুড়তলায় বাসভবনসহ সব স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, কানাডায় বসবাসরত বড় ছেলের কাছে স্থায়ীভাবে যাচ্ছেন শোকরানা। আজ ভোর ৬টা ৫৫ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কানাডা রওনা হওয়ার কথা। মোহাম্মদ শোকরানা জানান, রাজনীতিতে অবসর হয় না। তাই রাজনীতি থেকে একেবারে সরে যাচ্ছি। পরিবারকে সময় দিতে পারিনি এত দিন। এখন পরিবারের সদস্যদের হক আদায় করব। আমার বয়স হয়েছে। এ বয়সে আর রাজনীতি করার ইচ্ছা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর