রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

অনেক আগেই ভাবা উচিত ছিল

ড. ইফতেখারুজ্জামান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, রাসায়নিক পদার্থ যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এটা নিয়ে শুরু থেকেই সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন ছিল। শুধু রাসায়নিক পদার্থ নিয়েই একটি সমন্বিত কর্তৃপক্ষ দরকার। কিন্তু সেই কর্তৃপক্ষও নেই, পরিকল্পনাও নেই। এ কারণেই যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণভাবে এ ব্যবসা বিস্তৃত হয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বছরের পর বছর এমন দাহ্য পদার্থের ব্যবসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চকবাজারে অগ্নিকাে  যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল তা দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যার ফল। রাসায়নিকের মতো বিপজ্জনক দাহ্য পদার্থ নিয়ে সরকারের অনেক আগেই ভাবা দরকার ছিল। পুরান ঢাকায় যে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটল তার পেছনে মূল সমস্যা রাসায়নিক। এগুলোকে এমন স্থানে স্থানান্তর করতে হবে যা নিরাপদ। দুর্ঘটনা ঘটলেও যেন সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। এর জন্য সমন্বিত কর্তৃপক্ষ দরকার, যারা বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেবে। রাসায়নিক ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন আইনও আছে। তবে সেগুলোর প্রয়োগ নেই। কেউ মানে না। আইন না মানলে দেখারও কেউ নেই। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঢাকা সিটির বিভিন্ন সেবা ও তদারকির সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান জড়িত। এগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে চকবাজারের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে যে কাজগুলো করার কথা ছিল দীর্ঘদিনেও তা হয়নি। নিমতলী দুর্ঘটনার পর রাসায়নিক গুদামগুলো সরানোর কথা ছিল। নয় বছরেও সেটা হয়নি। একক প্রতিষ্ঠান না থাকায় এমনটা হয়েছে। আজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে দায়িত্ব থাকায় সরকারের জন্যও দায় এড়ানো সহজ হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য অতি মুনাফার লোভকে দায়ী করে তিনি বলেন, যারা গুদামের জন্য বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন আর যারা ব্যবসা করছেন তারা এ দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারবেন না। অল্প বিনিয়োগে সহজে মুনাফা করতে তারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ মৃত্যুঝুঁঁকি তৈরি করেছেন। এটা দায়িত্বহীনতা। বিষয়টা তদারকি না করায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও এর দায়িত্ব নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর