সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্দী খালেদা জিয়ার চারপাশে বিস্ফোরক ডিপো, বললেন রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার সন্নিকটে নাজিমউদ্দিন  রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অভিযোগ করে ‘এই মুহূর্তেই’ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমি গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের সঙ্গে বলছি, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে পরিত্যক্ত কারাগারে অবরুদ্ধ করে

রাখা হয়েছে তার চারপাশে রাসায়নিক বিস্ফোরকের ডিপো। চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে দেশনেত্রীর কারাগারের দূরত্ব মাত্র দেড় থেকে দুইশ মিটার। সেখানে ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরণ ঘটেছে।’ গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুধু প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এমন একটি কেমিক্যাল বিস্ফোরক বেষ্টিত ভয়ঙ্কর বারুদের ডিপোর মাঝখানে আতঙ্কজনক পরিবেশে দেশনেত্রীকে এক বছর বন্দী রাখা হয়েছে। তাকে এক অশুভ উদ্দেশ্যে ভয়াবহ বিপজ্জনক পরিবেশে বন্দী করে রেখেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।’ খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হতে পারে বলে আমরা শুনছি- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য এই মুহূর্তে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। এটা নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলবে না। অগ্নিকাণ্ডের দিন সারা রাত চারদিকে বিকট শব্দ, মানুষের আর্তচিৎকার, রাসায়নিক বিস্ফোরণের ভয়ঙ্কর ও বিকট শব্দ গ্রাস করেছিল আশপাশের এলাকা। তাকে ভয়ঙ্কর রকমের একটি পরিবেশের মধ্যে রাখা হয়েছে। অল্প দূরত্বে নির্ঘুম উৎকণ্ঠায় কেটেছে চরম অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার।’

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কারাগারে মেডিকেল টিম : কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ চিকিৎসক। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে এই পাঁচ চিকিৎসক পুরনো ঢাকায় অবস্থিত কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান। এক ঘণ্টার বেশি সময় তারা কারাগারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পাঁচ সদস্যের এই চিকিৎসকদের দলে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল জলিল চৌধুরী, রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানজিলা পারভিন, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ এবং অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইকবাল মাহমুদ।

সর্বশেষ খবর