সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাইলট বিমান অবতরণ করেন

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

পাইলটের দক্ষতায় রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীর ক্রুসহ শতাধিক যাত্রী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বিমান অবতরণ করেন। বিমানটি ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায় ছিনতাইকারী। কিন্তু পাইলটের দক্ষতায় ব্যর্থ হয় ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টা। ওই বিমানের কয়েকজন যাত্রীর কথায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ‘ময়ূরপঙ্খী’ উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ছিনতাইকারী বিমানের পাইলটকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা চালায়, যার বয়স হবে ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমাসদৃশ বস্তু। এরপর তার কথামতো বিমান পরিচালনার জন্য বিমানের ক্রুদের নির্দেশ দেয়। পরে যাত্রীদের মধ্যে আরবি ও ইংরেজি ভাষা জানা এমন লোককে খুঁজতে থাকে। তার ধারণা ছিল, বিমানটি ঢাকা থেকে সরাসরি আরব আমিরাতের         দুবাই যাবে। ছিনতাই প্রচেষ্টার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বিমানটি চট্টগ্রাম চলে আসে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করলে পাইলটের ওপর হামলা চালায় ছিনতাইকারী। এ সময় ছিনতাইকারী ও পাইলটের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে কয়েক রাউন্ড চক্কর দিয়ে বিমানটি দ্রুততার সঙ্গে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই বিমানে থাকা আরেকজন যাত্রী জানান, পাইলটের অসাধারণ দক্ষতায় তারা বড় ধরনের ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। পাইলট জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৌশলী আচরণ না করলে ছিনতাইকারী সফল হতো। বিমান অবতরণের সময় কয়েকজন যাত্রী আহত হলেও বেশির ভাগ যাত্রী অক্ষত থাকেন।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আবুধাবিগামী আরেকটি বিমানের যাত্রী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারের পর সব যাত্রী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। যাত্রীদের অধিকাংশই কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন না। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সেবা দিয়ে ট্রমা কাটানোর চেষ্টা করেন। যারা আহত হন তাদের তারা সেবা দেন।

 

সর্বশেষ খবর