মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
র‌্যাবের ব্রিফিং

কিশোরী অপহরণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল পলাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১২ সালের মার্চে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একজন কিশোরীকে অপহরণ মামলায় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদী। তখন ১৭ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল বলে উল্লেখ করা হয় মামলার এজাহারে। ২৮ মার্চ ওই ভিকটিমকে র‌্যাব উদ্ধারসহ পলাশ এবং তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান। গতকাল র‌্যাব সদর দফতরে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী ওই পলাশের সঙ্গে একটি খেলনা পিস্তল এবং তার শরীরে বোমা সদৃশ বস্তু ছিল। তবে এগুলোর কোনোটিই আসল ছিল না।

মুফতি মাহমুদ আরও বলেন, ২০১২ সালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল পলাশ। তবে অভিযান চালিয়ে সোনারগাঁ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পলাশের যাবতীয় তথ্য র‌্যাবের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সে সময় পলাশের সহযোগী নেমরা মারমা নামে এক যুবকও গ্রেফতার হয়েছিল। পলাশ স্থানীয় তাহেরপুর মাদ্রাসা থেকে এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় পাস করে।

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, পলাশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার পিরিজপুরের দুধঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। বিমানের ডাটাবেজে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে র‌্যাবের তথ্যের মিল পাওয়া গেছে। বিমানের পেসেঞ্জার লিস্ট অনুযায়ী, তিনি অভ্যন্তরীণ রুটের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) যাত্রী ছিলেন। তার নাম উল্লেখ ছিল আহমেদ/এম পলাশ। সিট নম্বর ছিল ১৭৪। র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ২২ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন পলাশ এক কিশোরীকে কাঁচপুর আলী নূর স্টিল মিলস-এর সামনে থেকে অপহরণ করে। মামলার নম্বর-৪৪। ২৮ মার্চ সোনারগাঁ এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়ার সময় পলাশের বয়স ছিল ১৮ বছর ১৫ দিন।

সর্বশেষ খবর