মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দিলীপ আবোল-তাবোল বলছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিলীপ আবোল-তাবোল বলছেন

পুরান ঢাকার চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউন ও কারখানা সরানো নিয়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার অভিযোগকে নাকচ করে দিলেন সদ্যবিদায়ী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, মন্ত্রী থাকা অবস্থায় পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরাতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতেই দিলীপ বড়ুয়া আবোল-তাবোল বলছেন। মন্ত্রী থাকা অবস্থায় নিজের ব্যর্থতা ও অযোগ্যতায় স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়তে পারেন-এমন আশঙ্কা থেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সেই ব্যর্থতার দায় তিনি আমার ওপর চাপাতে চেয়েছেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  গত শনিবার দিলীপ বড়ুয়া বলেছিলেন, ‘সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর কারণে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরানো যায়নি।’ তার এই অভিযোগের জবাবে আমির হোসেন আমু গতকাল নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন।  অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিএনপি সরকারের ওপর দোষারোপ করছে-আবার আওয়ামী লীগের শরিক জোটের নেতার এমন অভিযোগে সরকার বিব্রত কিনা? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, এই ইস্যুতে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। দিলীপ বড়ুয়া এমন একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন যে দলে নিজ যোগ্যতায় একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ারও সামর্থ্য নেই। ১৪ দলে না এলে তাকে কেউ চিনতও না।

আমির হোসেন আমু বলেন, ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীর অগ্নিকান্ডের ঘটনার পরে একটি কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিসিকের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির সভাপতি হওয়ার কথা ছিল তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার। তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতা ও নির্লিপ্ততার কারণে তাকে সভাপতি করা হয়নি। এতেই তার ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়। তিনি আরও বলেন, আমি দিলীপ বড়ুয়ার নাম কোথাও পাইনি। যেটা আমি দেখলাম সেটা হচ্ছে, চার মাস পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটা মিটিং হয়, সেই মিটিংয়ে এটা টাস্কফোর্স হয়েছিল।

সাবেক এই শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রকল্প অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাই। আমার সময় কেমিক্যাল পল্লী গঠনের লক্ষ্যে ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন করানো হয়। তারপরই আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের বারবার আহ্বান করা হলেও তারা স্থানান্তরের চুক্তি সম্পাদনে আসেননি।  এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা ছোট আকারে ব্যবসা করেন। তারা এখান থেকে সরতে চান না। তা ছাড়া, এসব প্রতিষ্ঠান শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্তও নয়। এসব কারণে কেমিক্যাল কারখানা সরাতে সময় লাগছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর