শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিশ্লেষকদের অভিমত

পাকিস্তানের অন্যায় আচরণেই পরিস্থিতি উত্তেজনাকর

কলকাতা প্রতিনিধি

‘জঙ্গি আস্তানাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রত্যুষে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটে নিবৃত্তিমূলক অভিযানের পর পাকিস্তানের যে অন্যায় আচরণ, তাতেই পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে।’- এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গিরা ভারতে আরেকটি সিরিজ হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে- এ রকম নিশ্চিত তথ্য পেয়েই ভারত ব্যবস্থা নেয়। তার অভিযান ছিল সন্ত্রাস দমনমূলক অসামরিক অভিযান। পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনা বা ব্যক্তিকে টার্গেট করা হয়নি। অথচ পাকিস্তান ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করে। উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে থাকা ভারত ব্যর্থ করে দেয় পাকিস্তানি অপচেষ্টা।

অসামরিক লোকজন যাতে হতাহত না হয় ভারত সেভাবে লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ করে। বেসামরিক ব্যক্তিদের উপস্থিতি থেকে বহুদূরে পাহাড়ের ওপর ঘন জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের যেসব প্রশিক্ষণ শিবির সেগুলোতেই আঘাত হেনেছিল ভারত। জইশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গিরা পাকিস্তানের কোথায় কোথায় ঘাপটি মেরে আছে, ভারত সে তথ্য পাকিস্তান সরকারকে জানিয়েছিল। তবু দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পর্যবেক্ষকরা বলেন, পাকিস্তানে ঘাঁটি করা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত এবং বার বার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আহ্বান জানিয়েছে। এসব আহ্বানকে পাকিস্তান গুরুত্বই দেয়নি। সে তার মাটিতে বা তার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জঙ্গিদের অস্তিত্ব এবং অবকাঠামো অস্বীকার করে চলেছে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইতে ও ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পাঠানকোটে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের বিচারের জন্যও ইসলামাবাদ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৪ সালে পাকিস্তান প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছিল যে, ভারতে সন্ত্রাসী হামলার জন্য সে কোনো অবস্থাতেই কাউকে তার মাটি ব্যবহার করতে দেবে না। বিশ্লেষকরা বলেন, প্রকাশ্যে ঘোষিত ওই প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানের বাস্তবায়নের সময় এসেছে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আশু ব্যবস্থা নিতে ইসলামাবাদকে উদ্বুদ্ধ করা। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানায়, নয়াদিল্লি সবসময় সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ করে এসেছে। এখনো করছে। সামনের দিনগুলোতেও করবে।

সর্বশেষ খবর