শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে দুই জেলায় পাঁচজন নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফ এবং মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুজন মাদক ব্যবসায়ী, দুজন চোরাকারবারি এবং একজন ডাকাতিসহ অনেক মামলার আসামি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কক্সবাজার : টেকনাফে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে হোয়াইক্যংয়ের বটতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হন। নিহতরা মাদক কারবারি ছিলেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। এ ছাড়া নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরও দুজন নিহত হয়েছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, নিহতরা হলেন টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকার আবদুল জলিল প্রকাশ জানে আলমের ছেলে রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত আবদুল হাকিম ডাকাতের ছোট ভাই নজির আহমদ (৪০) ও  হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার হাজি জাকারিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪০)। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা হলেনÑ এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এএসআই খায়রুল, কনস্টেবল এরশাদুল ও বেলাল উদ্দিন। হোয়াইক্যংয়ের বটতলী এলাকায় ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালালে গুলিবর্ষণ করে মাদক কারবারিরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে পাচারকারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২৩টি গুলির খোসা ও ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, ভোরে টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় গুলি চালায় চোরাকারবারিরা। বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক বিজিবি সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশ দুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গতকাল সকালে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একাধিক মামলার আসামি সেলিম হোসেন (৪২) নিহত হয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার ফুলহার গ্রামের ধলেশ^রী নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ২ পুলিশ সদস্যও আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দোনালা বন্দুক ও একটি রামদা উদ্ধার করেছে। নিহত সেলিম ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন সোনাকান্দা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন সোনাকান্দা গ্রামের আলমাস হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি। সিরাজদিখান ও টঙ্গীবাড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশাদুজ্জামান জানান, কয়েকজন সহযোগীসহ বহু মামলার আসামি সেলিম হোসেন ফুলহার গ্রামের ধলেশ^রী নদীতে ট্রলারযোগে ঘোরাফেরা করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে সেলিম ও তার সহযোগীরা গুলি ছোড়ে। তখন পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে ট্রলারটি ধলেশ^রী নদীর তীরে নোঙর করে সেলিমের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সেলিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর