মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিমান ছিনতাই চেষ্টা তদন্তে আরও দুই দিন

পাঁচ নিরাপত্তা কর্মী বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাইগামী যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং আনসার বাহিনীর তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিমান বাহিনীর একজন সার্জেন্টকেও এ ঘটনায় প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে ছিনতাই চেষ্টা ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে। গতকাল এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল। বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কমিটির কাজে যেন কোনো ফাঁক না থাকে সে জন্য প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত ৫দিনের স্থলে ৭ দিন করা হয়েছে। বেবিচক সূত্র জানায়, বিমান ছিনতাই চেষ্টার দিন অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যারা দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে ৫জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাজকে বেগবান করতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বরখাস্তরা হলেন-সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটি সুপারভাইজার লেহাজউদ্দিন ভূঁইয়া, নিরাপত্তারক্ষী ইউনুস হাওলাদার, আনসার সদস্য আলিম হোসেন, মাহফুজুর রহমান ও সাদ্দাম হোসেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দও থেকে উড্ডয়নের পর পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক ‘খেলনা পিস্তল’ নিয়ে ক্রুদের জিম্মি করেন। দুবাইগামী ওই ফ্লাইটটি এরপর চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে যাত্রী এবং কেবিন ক্রুরা বাইরে আসার পর কমান্ডো অভিযানে ওই যুবক মারা যান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ওই উড়োজাহাজটির ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার এই ঘটনায় রাতেই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত সচিব  মো. মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড  রেজুলেশন্স) উইং কমান্ডার চৌধুরী মো. জিয়াউল হক কবীর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের পরিচালক (পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর (অব.) মাহবুব জাহান খান এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সিনিয়র সিকিউরিটি কনসালটেন্ট গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মো. আলমগীর। কমিটিকে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় (আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ) কোনো ত্রুটি ছিল কি না তা চিহ্নিত করা, নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে কীভাবে অনাকাক্সিক্ষত দ্রব্যাদি বহন করা সম্ভব হলো তা চিহ্নিতকরণ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কেউ জড়িত ছিল কিনা এবং এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ও করণীয় বিষয়ে সুপারিশমালা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর