বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

হঠাৎ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সব ধরনের সবজি মাছ ও মাংসের দাম অযৌক্তিক হারে বাড়ছে। আলু আর বেগুন ছাড়া ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিমের ডজনপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকা। ১৫ দিন আগেও ছিল ৯০-৯৬ টাকা। করলার কেজি ৮০ টাাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০-৭০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ার ফালি ২০ টাকা। আলুর দামও বেড়েছে।

এদিকে আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো চক্র বাজারে পণ্যমূল্য অস্থিতিশীল করতে না পারে সে জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রমজানে বেশি ব্যবহৃত হয় এমন পণ্য প্রয়োজনে আগে থেকেই আমদানির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। যেমনÑভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, পিয়াজ ও খেজুর। একই সঙ্গে এসব পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের। জানা গেছে, কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে একটি শক্তিশালী চক্র রয়েছে ঢাকার মৌলভীবাজার, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এবং নারায়ণগঞ্জ বন্দরে। এ ছাড়া ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারক পর্যায়েও বড় ধরনের কারসাজির কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সূত্র জানিয়েছে, আজ বুধবার বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এবার রোজা শুরু হবে। ওই হিসেবে এক মাস পরেই রমজান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, রমজানে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে ২.৫ থেকে ৩ লাখ টন, চিনি ৩ লাখ টন, ছোলা ৮০-৯০ হাজার টন, খেজুর ১৮ হাজার টন এবং পিয়াজ ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টনের। এ ছাড়া ৫০-৬০ হাজার টন মসুর ডালের চাহিদা তৈরি হয়। গত কয়েক মাসের পরিসংখ্যানে এসব পণ্যের দাম বাড়ার  তমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বরং দাম কমে বাজার এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে রোজায় যাতে বাজারে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক থাকে সে জন্য আমদানি বাড়ানোর কথা বলছে সংশ্লিষ্টরা। বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, রোজায় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না। এখন পর্যন্ত রোজায় ব্যবহার হয় এমন সব পণ্যের কোনো সংকট দেশে নেই। এ ছাড়া ওই সময়ের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে আমদানি বাড়ানোসহ যা করণীয় সরকারের পক্ষ থেকে সব করা হবে। এ ছাড়া এবার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা টিসিবি’র কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘শুধু রমজানে নয়, সারা বছরই দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে, দাম বাড়বে না। এর জন্য যা করার প্রয়োজন, তা-ই করা হবে। কেউ যাতে বাজার অস্থির করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকারের সব সংস্থা একযোগে কাজ করবে।

সর্বশেষ খবর