বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

উত্তরায় শিশু গৃহকর্মীর লাশ বিক্ষোভ আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার একটি বাসায় বৈশাখী আক্তার (১২) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বৈশাখীকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী ও তাদের স্বজনরা।

খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর, ১৮ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাসার ৫ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, বৈশাখী দেড় মাস ধরে রিফাত ফেরদৌস নামে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাটে কাজ করছিল। তবে ১০ দিন আগে দাদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি নওগাঁতে যায় সে। গত সোমবার বিকালে মা জান্নাতুল মেয়ে বৈশাখীকে পুনরায় ওই বাড়িতে দিয়ে যান। গতকাল দুপুরে বাথরুমের পাশের গ্রিলে বৈশাখীকে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন গৃহকর্তা রিফাত। বৈশাখীর বাবা আজিবল হাসান পেশায় রিকশাচালক। থাকেন বাওনিয়াবাদ বস্তিতে। বৈশাখীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার আত্মীয়-স্বজন ছুটে যান ওই ভবনের সামনে। মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। এলাকার লোকজনও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এক পর্যায়ে তারা বাসার সামনে বিভিন্ন পরিত্যক্ত জিনিসপত্র জড়ো করে আগুন ধরিয়ে  দেন। পরে ওই ভবনের নিচতলা থেকে সাইকেল ও আসবাব নিয়েও আগুনে দেওয়া হয়। পরে আগুন  নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গেলেও সেখানে তাদের ঢুকতে দেননি বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির দিকে ইট-পাটকেল ছোড়েন বিক্ষুব্ধরা। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসা থেকে মেয়েটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য  নেওয়া হয়। বৈশাখীর বাবা আজিবল বলেন, মেয়েকে গতকাল ওই বাসায় দেওয়া হয়েছিল। তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। গৃহকর্তা রিফাত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। ওই বাসায় এক শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন রিফাত। তার গ্রামের বাড়ি খুলনায়। এ ব্যাপারে উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার কামরুজ্জামান বলেন, রিফাত পুলিশকে খবর দিলে বাসায় গিয়ে একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে জানালায় ঝুলন্ত অবস্থায় বৈশাখীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বৈশাখীকে খুন করা হয়েছে- এমন দাবি করা হলেও আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। মৃতদেহের পায়ের নখগুলো ফ্লোরে লেগে ছিল। এখন আমরা অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি।

সর্বশেষ খবর