শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রেসিডিয়াম বৈঠক

অক্টোবরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতি বিভাগে সাংগঠনিক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে দলের প্রেসিডিয়ামের এক সভায় এমন নির্দেশনা দেন তিনি। যেসব জেলা-উপজেলায় কমিটি নেই, সেখানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটি গঠনের কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানান, সভায় কাউন্সিল উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ, প্রেসিডিয়ামসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আট বিভাগে আটটি টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বিভাগীয় যুগ্মসম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা টিমে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন। শিগগিরই টিম পূর্ণাঙ্গ করে সফরের তারিখ জানানো হবে। এসব টিম আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে কাজ করবে। এ ছাড়া ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনে দেশের ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক দল এসব কমিটি গঠন করে দেবে এবং সাড়ম্বরে জন্মশতবার্ষিকী পালনে কাজ করবে।

একই সঙ্গে সভায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতা সংগঠনের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন না তাদের কর্মকাে র ওপর প্রতিবেদন তৈরি ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তিনি বলেন, যারা নৌকা নিয়ে এমপি হয়েছেন, তারা যদি নৌকার বিপক্ষে কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। উপস্থিত ছিলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান। সভায় দাফতরিক সহায়তা দেন দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

সভায় সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত অগ্নিদুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। অগ্নিদুর্ঘটনাসহ সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে ভবন মালিক ও ব্যবহারকারীদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থাসমূহের কঠোর নজরদারি বাড়ানোসহ জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, বনানীর ভবনটি বিল্ডিং কোড মেনে করা হয়েছিল কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। যে নকশার ওপর অনুমোদন নিয়েছে, তা ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। আবার ঠিক থাকলে কীভাবে অনুমোদন দিল তাও খতিয়ে দেখা উচিত।

বনানী দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাশ্রমী শিক্ষার্থীদের সাহসী ও কার্যকর ভূমিকার জন্য সভার পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সারা দেশে দলীয়ভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সর্বশেষ খবর