রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

হাওরে দুর্নীতি হচ্ছে রাজনৈতিক যোগসাজশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাওরে দুর্নীতি হচ্ছে রাজনৈতিক যোগসাজশে

ড. আবুল বারকাত

রাজনৈতিক যোগসাজশে হাওরের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. আবুল বারকাত। তিনি বলেন, হাওরে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে ঠিকাদারি আর পিআইসি (প্রকল্পের জন্য একটি করে বাস্তবায়ন কমিটি)- এই দুই অ্যাপ্রোচে দুর্নীতি হয়। ঠিকাদারি পদ্ধতিতে ঠিকাদার আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা মিলে দুর্নীতি করেন। আর পিআইসি পদ্ধতিতে দুর্নীতি করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পিআইসির রাজনৈতিক যোগাযোগ থাকা সদস্যরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম কনফারেন্স হলে ‘হাওরের সুশাসন ব্যবস্থা ও হাওরবাসীর অধিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে ড. বারকাত এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) তৈরি করা ‘হাওর অঞ্চলের বাঁধ ব্যবস্থাপনা, হাওরবাসীর জীবন প্রণালি ও অধিকার’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি। ড. বারকাত বলেন, ২০১৭ সালে ঠিকাদার ও পাউবোর কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাদের অর্থ আত্মসাৎ ও অবহেলার কারণেই হাওর অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় কৃষক ও জনসাধারণের মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি হয়। ২০০৯ সালের জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতির অপব্যবহার ও ইজারা ব্যবস্থায় সরাসরি প্রকৃত জেলেদের বঞ্চিত করা হয়। হাওরের দখল পাইয়ে দেওয়া হয় ইজারাদারকে, যাদের সঙ্গে যোগাসাজশ থাকে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের। এভাবে ব্যবস্থাগতভাবে হাওরের দরিদ্র ও প্রান্তিক মৎস্যজীবীরা হাওরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। হাওরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সুপারিশ তুলে ধরে এ গবেষক বলেন, বছরের বিশেষ বিশেষ সময় যখন হাওরের দরিদ্র কৃষক ও জেলেরা বেকার থাকে তখন ভর্তুকিমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করতে হবে। এ জন্য খোলা বাজারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। গরিব কৃষককে বিনামূল্যে বীজ, সার ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার পরামর্শ দেন তিনি।

সর্বশেষ খবর