সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ ভারত একমত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীমান্তে চোরাচালানের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ভারতের কাস্টমস। দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যকার প্রায় সব বন্দর দিয়ে চোরাচালান ও অর্থপাচার হয়। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এই দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক সময়ের দাবি। বর্তমান বিশ্বে তথ্যই হলো বড় শক্তি। তাই তথ্য আদান-প্রদান করে দুই দেশের কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স বাণিজ্য সহজীকরণের দিকে এগিয়ে যাবে। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর-সিআইআইডি এবং ভারতের ডিরেক্টর অব রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্স-ডিআরআইর মহাপরিচালক পর্যায় বৈঠকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আশা প্রকাশ করেন। শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভারতের ডিরেক্টর অব রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্স-ডিআরআইর মুখ্য মহাপরিচালক দেবী প্রসাদ দাস। ওই অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ভারতে বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান সহজীকরণের ওপর জোর দিতে হবে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের পর ভারতই হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। উভয় দেশ চায় বাণিজ্য বাড়াতে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চোরাচালান, অর্থপাচার, শুল্কফাঁকি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধসহ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের দিকেই এগিয়ে যাবে। কারণ গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমেই সম্ভব চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও জাতীয় নিরাপত্তা। ভারতের ডিরেক্টর অব রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্স-ডিআরআইর মুখ্য মহাপরিচালক দেবী প্রসাদ দাস বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারকরণের জন্যই প্রথম ডিজি পর্যায়ে বৈঠক। দুই দেশের মধ্যে ৩১টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর প্রায় সব বন্দর দিয়ে চোরাচালান, মানিলন্ডারিং হয়। এ চোরাচালান বন্ধে তথ্য আদান-প্রদান জরুরি। আমাদের সঙ্গে সার্ক চুক্তি আছে। সাসেক চুক্তিও আছে, তা আরও কার্যকর করতে বাণিজ্য বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর