নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ভোটকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন ছয় সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের উত্তর বাগ্গা গ্রামের রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় নির্যাতিতাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী শাহজাহান বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চরজব্বর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইউসুফ মাঝি ও আবুল বাশার নামে দুজনকে আটক করেছে।

নির্যাতিতা নারী অভিযোগ করে বলেন, ৩১ মার্চ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট চলছিল। তিনি ও তার স্বামী চশমা প্রতীকের প্রার্থী তাজ উদ্দিন বাবরের চশমা মার্কার সমর্থনে ভোট করেন। তালা প্রতীকের সমর্থক ইউসুফ মাঝি তালা মার্কায় ভোট করার জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে ইউসুফ মাঝি তাকে হুমকি দেন ও বাগবিত-া হয়। সন্ধ্যায় ভিকটিম ও তার স্বামী শাহজাহান মোটরসাইকেলে আটকপালিয়া বাজার থেকে বাগ্গা গ্রামে নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার পথে ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের আক্রমণ করে। এ সময় বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাশার ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিনের মৎস্য খামারের কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার স্বামীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার এবং রাতেই হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী শাহজাহান বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে চরজব্বর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ জড়িত অভিযোগে ইউসুফ মাঝি ও আবুল বাশার নামে দুজনকে আটক করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।