বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ নয়, ৬টায় ফিরে যেতে হবে

বিশেষ প্রতিনিধি

মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ নয়, ৬টায় ফিরে যেতে হবে

আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আসন্ন পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ পরা এবং বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাজানো যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিকাল ৫টার পর অনুষ্ঠান শেষ ও সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে হবে। সারা দেশের নববর্ষের অনুষ্ঠান নিরাপদ ও আনন্দময় করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আসাদুজ্জামান খান বলেন, ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। নিরাপদে চলাচলের জন্য ঢাকায় বিশেষ ট্রাফিক প্ল্যান করা হবে। শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর আর কেউ ঢুকতে পারবে না। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারবিহীন কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যেন পয়লা বৈশাখ নিয়ে অপপ্রচার করতে না পারে তা মনিটরিং করা হবে। বাঙালি দীর্ঘকাল ধরে বৈশাখে উৎসব করে এলেও তা ‘হিন্দুয়ানি, অনৈসলামিক’ বলে প্রচার চালাচ্ছে একদল। প্রায় দুই দশক আগে রমনায় বর্ষবরণের উৎসবে বোমাহামলা চালানো জঙ্গিরা এই বিশ্বাস ধারণ করেই হামলা চালিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ দেশব্যাপী নিরাপদে উদযাপন করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান, চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিল, কূটনীতিক পাড়ায় থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা। বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারীদের উত্ত্যক্ত করলে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।

ফায়ার সার্ভিসের জন্য কেনা হচ্ছে বিশেষ হেলিকপ্টার : একই সময় ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ ধরনের হেলিকপ্টার কেনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, এই হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ দুটোই একসঙ্গে করা যাবে। বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করায় আগুন আরও ছড়িয়ে যায় বলে জানা গেছে- এ বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিনের অগ্নিকা  একেবারে পিক টাইমে ঘটেছিল। ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। তখন ছাদের ওপর অনেক লোক উঠে গিয়েছিল। তাই তাদের উদ্ধারের জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। সব শক্তি ব্যবহার করে লোকজনকে উদ্ধার করতে চেয়েছিলাম। হেলিকপ্টারে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পানিও ঢেলেছিল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ ধরনের হেলিকপ্টার কেনা হবে, যা দিয়ে উদ্ধার এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ দুটোই হবে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসকে আরও আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসে কিছু বৈষম্য রয়েছে, এটাও ঠিক করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। তাদের এখন ঝুঁকি ভাতাও দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর