বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
অস্থির ক্যাম্পাস

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর সংঘর্ষ

শেকৃবি সংবাদদাতা

পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রলীগের আঞ্চলিক গ্রুপগুলোর (উত্তরবঙ্গ, ময়মনসিংহ ও দক্ষিণবঙ্গ) মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন গ্রুপের ৭১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও একজনকে নিউরোসায়েন্স মেডিকেল ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি একজনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষে দুটি হলের ২৫টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হল ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহের মধ্যে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে সমাধানের চেষ্টা করেন এবং পরদিন তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা  তা না মেনে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ময়মনসিংহ গ্রুপ হলের ভিতরে ও উত্তরবঙ্গীয় গ্রুপ মাঠে অবস্থান নিয়ে একে অপরের প্রতি ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করে। পরে উল্টো দিক থেকে হলের লোহার গেট ভেঙে মাঠে থাকা উত্তরবঙ্গ গ্রুপ হলে প্রবেশ করে। এ সময় হলে রড, লোহার গ্যাসপাইপ, লাঠিসোটা নিয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতি ও আক্রমণাত্মক স্লোগানে ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় হলের নিচতলায় থাকা উত্তরবঙ্গীয় গ্রুপ হল থেকে বের হয়ে টিএসসির সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু গ্রুপ (দক্ষিণ বঙ্গ) ও সেক্রেটারি মিজানের (ময়মনসিংহ গ্রুপ) এক হয়ে উত্তরবঙ্গ গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এর কিছু সময় পর তারা নজরুল হলে ঢুকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ গ্রুপের নির্দিষ্ট কক্ষগুলোয় হামলা চালায়। এ সময় কক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের বাইরে বের করে রড ও পাইপ দিয়ে পেটানো হয়। পরে পুলিশ হামলাকারীদের হল থেকে বের করে দেয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘দলে গ্রুপিং থাকবেই। তাই বলে সহিংসতা মেনে নেওয়া যায় না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ ঘটনা সম্পর্কে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিছু শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।

সর্বশেষ খবর