বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

৩৭% কর ফাঁকি দিয়ে বন্ডের চোরাই পণ্য বাজারে

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্ডের ওয়্যার হাউস সুবিধায় আমদানি হওয়া বিনা শুল্কের পণ্য কোথায় যায়, সেটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নজরদারি রাখতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন- বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেছেন, প্রায় ৩৭ শতাংশ করফাঁকি দিয়ে বন্ডের চোরাই কাপড় পণ্য বাজারে ছাড়া হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। এতে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামসুল আলম সজল, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম সোলায়মান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ডাইং-প্রিন্টিং অ্যাসোসিয়েশনের বদরুল হুদা, মাধবদি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বন্ড সুবিধার পণ্য আমদানি করে, যারা খোলাবাজারে বিক্রি করে, তারা শিল্পের শত্রু। বাজারে যেভাবেই বন্ডের অবৈধ পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ব্যবসা করা যায় না। লিখিত বক্তব্যে বিটিএমএ সভাপতি বলেন, বন্ডেড ওয়্যার হাউসের মাধ্যমে আমদানি হওয়া সুতা ও কাপড়ের মোড়কে সুস্পষ্টভাবে ‘রপ্তানি পণ্য তৈরিতে ব্যবহারের জন্য আমদানি নট ফর সেল বা বিক্রির জন্য নয়’ লেখার নিয়ম চালু করতে হবে। বন্ডেড ওয়্যার হাউস ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আরও কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যে সব রুট বা পথ দিয়ে টেক্সটাইল পণ্য সামগ্রী আমদানি হয় সে সব শুল্ক স্টেশনের চেকিং ব্যবস্থা কঠোর ও সার্বিক মনিটরিং নিশ্চিতকরণ।

বিটিএমএ বলেছে, শুল্কমুক্ত আমদানির মিথ্যা ঘোষণা ও চোরাপথের সুতা এবং কাপড় স্থানীয় বাজারে অবাধ বিক্রয়ের কারণে প্রায় ৬০ শতাংশ পাওয়ার লুম বন্ধ। প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে যদি প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের বিদ্যমান সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব না হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে এ খাতসহ আমরা সবাই সমূহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হব। আগামী বাজেটটি আমাদের বিবেচনায় প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের টিকে থাকার ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা ও একই সঙ্গে আশঙ্কার হতে পারে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি ও নতুন বাজেটে টেক্সটাইলকে ভ্যাটের আওতায় আনা হলে তা হবে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।

সর্বশেষ খবর