রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা

সাখাওয়াত কাওসার

পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্ক র‌্যাব-পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। নিরাপত্তা নি-িদ্র করতে রাজধানীসহ সারা দেশের অনুষ্ঠানের দিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো রাখছে বিশেষ নজরদারি। এরই মধ্যে সিসিটিভির নজরদারির আওতায় নেওয়া হয়েছে রাজধানীর অনুষ্ঠানস্থলগুলোকে। নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা দুই দিন ধরে ডগ স্কোয়াড এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলগুলো দফায় দফায় সুইপিং ছাড়াও আজকের জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াড, র‌্যাবের হেলিকপ্টার, অতিরিক্ত প্যাট্রল টিম, মেডিকেল টিম, ভেহিক্যাল স্ক্যানার। স্থাপন করা হয়েছে অতিরিক্ত চেকপোস্ট, অবজারভেশন পোস্ট। রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রবীন্দ্র সরোবরে পুলিশ-র‌্যাবের স্থাপিত সাব কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মনিটর করা হবে নিরাপত্তা আয়োজন।

গতকাল রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পয়লা বৈশাখের দিন সকালে এখান থেকে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা শহরের বহুসংখ্যক মানুষ এই শোভাযাত্রা ও বটমূলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ঢাকাসহ সারা দেশে গোয়েন্দা নজরদারিসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা এখন যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। এবারের বৈশাখের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ কি-না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবারের নিরাপত্তা অন্য বারের মতোই, নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ  নেই। অপরাধীরা নানাভাবে মেধা প্রয়োগ করে, আমরা  সেভাবেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে তৈরি করেছি, সক্ষমতা বাড়িয়েছি।

জানা গেছে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করায় সেখান থেকে দুই নটিক্যাল মাইলের মধ্যে হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে পরিস্থিত প্রয়োজনে হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছে র‌্যাব। পোশাকে-সাদা পোশাকে র‌্যাব-পুলিশের সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন অনুষ্ঠানস্থলসহ বিভিন্ন এলাকায়। নিরাপত্তা নি-িদ্র করতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে অতিরিক্ত চেকপোস্ট। সুউচ্চ ভবনগুলোর দিকে রাখা হয়েছে বিশেষ দৃষ্টি। অনুষ্ঠানস্থলগুলোর আশপাশে অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করে সার্বক্ষণিকভাবে পরখ করা হচ্ছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। বিসিআইসির পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ওই এলাকার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে বিশেষ নজর।

র‌্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঢাকার বড় বড় অনুষ্ঠানস্থলগুলোতে থাকবে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোর অনুষ্ঠানস্থলগুলোতে সুইপিং করেছে র‌্যাব। ক্যাম্প নেই এমন জেলাগুলোতে অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে নিরাপত্তা সমন্বয় করা হবে। আমরা ইতিমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছি, যা চলমান আছে এবং অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। ছায়ানটের সমন্বয়ক (অনুষ্ঠান) রশীদ আল হেলাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিরাপত্তা আয়োজন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। রবিবার সোয়া ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় শেষ হবে। শনিবার আমরা সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত রিহার্সেল করেছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর