শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
ভয়াবহ বেড়েছে সামাজিক অপরাধ

সেই শিক্ষকের যৌন হয়রানির সত্যতা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তে সত্যতা মিলেছে। বুধবার বিকালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির দেওয়া দুই পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে এই সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা, ক্লাস টেস্টে ভিডিও করা, বাজে আচরণ করা, গায়ে হাত দেওয়া ও যৌন হয়রানির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিয়াম স্কুলের ছাত্রী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল নাটোরের সিংড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, ভোগান্তি, হুমকি প্রদানসহ মোট ১২টি অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কয়েকটি দফতরে লিখিত অভিযোগ দেন ওই প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন ছাত্রী এবং ১১ জন অভিভাবক। আবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুর রহমানকে দ্রুত অপসারণের পাশাপাশি কঠোর শাস্তির দাবিও করেন তারা। অভিযোগে বলা হয়, ফজলুর রহমান বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের রাতে ফোন করে কুপ্রস্তাব দেন। আর এতে রাজি হলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বেশি নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। এ ছাড়া প্রাইভেট পড়ানো অবস্থায় একাধিক ছাত্রীর ¯পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়াসহ যৌন হয়রানি করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ঘটনা তদন্তে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল কুমারকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু রুশত মতিন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহকারী প্রোগ্রামার শফিকুল ইসলাম। ১৫ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের যৌন হয়রানি তদন্ত করা হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের সভাপতি সুশান্ত মাহাতোর কাছে দাখিল করা হয়। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর