বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই, ন্যায়বিচার নেই, মানবাধিকার নেই। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। কোথাও কারও নিরাপত্তা নেই। বিএনপি নেতা শাহীন হত্যা প্রমাণ করে দেশে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। তাই দেশের মানুষকে সব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, শাহীনের পরিবার আজ অসহায়। জনগণের পাশে দাঁড়ানোই শাহীনের অপরাধ। এ হত্যাকাণ্ডে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অত্যন্ত মর্মাহত। তারা বগুড়াবাসীর পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তাই বগুড়াবাসী তাদের দুজনের জন্য দোয়া করবেন। তিনি আরও বলেন, অধিকার আদায়ে একসঙ্গে থাকবেন। নেতা-কর্মীরা শাহীনের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। যে কোনো প্রয়োজনে যে কোনো সময় পাশে থাকবেন। আল্লাহ যেন শাহীনকে বেহেশত নসিব করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, নেত্রী কারাগারে অত্যন্ত অসুস্থ্য। তিনি হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। এ ছাড়া তারেক রহমান বিদেশে রয়েছেন। তাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। তিনি গতকাল সকাল ১১টায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। তিনি শাহীনের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং ধৈর্য ধরতে বলেন। এ সময় বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এ সরকারের আমলে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। অবিলম্বে শাহীন হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে। আমি এ আন্দোলনের সঙ্গে থাকব। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, শাহীন হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমান, জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেতা আলী আজগর হেনা, সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, শাহ মেহেদী হাসান হিমু, শাহাবুল আলম পিপলু, এস এম রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
