বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

নাইকো মামলায় খালেদাকে আদালতে নেওয়া হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিষয়ে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছে আদালত। গতকাল পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ধার্য করেন। গতকাল আসামিদের বিষয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও খালেদা জিয়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকায় এদিন তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি। এজন্য বিচারক শুনানি রেখে ৬ মে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলাসূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন। পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দে র বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ হবে কি-না, এ প্রশ্নে শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ঠিক করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে। পরে খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আপিলটি অ্যাডমিশন হেয়ারিংয়ের জন্য দিয়েছি। এটা আগামী মঙ্গলবার অ্যাডমিশন হেয়ারিং হবে। বিধান হচ্ছে অ্যাডমিশনের সঙ্গে সঙ্গে বেইল (জামিন) পিটিশন দিতে হয়। আমরা ইতিমধ্যে বেইল পিটিশন রেডি করেছি। আশা করি ওইদিন অ্যাডমিশনের সঙ্গে সঙ্গে বেইল আবেদন করব। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদ  দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ- দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দ প্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

সর্বশেষ খবর