শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

চাকরিতে প্রবেশে বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে নাকচ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য সংসদে আনীত সিদ্ধান্ত প্রস্তাব কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে গেছে। প্রস্তাবটি আনেন বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু। প্রস্তাবটি সমর্থন করে সরকারি ও বিরোধী দলের ১০ জন সদস্য সংশোধনী প্রস্তাবও দেন। কিন্তু জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংবিধান ও চাকরির বিধিমালায় আছে চাকরিতে ন্যূনতম ২৫ বছর চাকরি না করলে পূর্ণ পেনশন পাবেন না। সুতরাং কেউ যদি ৩৭ বছরে চাকরিতে যোগ দেন, ২৫ বছর পূর্ণ করতে হলে তাকে ৬২ অথবা ৬৩ বছর বয়সে অবসরে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে অবসরে যাওয়ার সময় ৫৯ বছর। সুতরাং তাকে আরও তিন-চার বছর চাকরি করতে হবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সে সুযোগ নেই। তবে প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নিতে অস্বীকার করলে তা ভোটে দেওয়া হয় এবং তা নাকচ হয়ে যায়।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের বৈঠকে এটি নাকচ হয়। এর আগে নিজ নিজ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিয়ে আনা সংশোধনীর ওপর বক্তব্য দেন রুস্তম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩), শহিদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), ছলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬) সংরক্ষিত আসনের রওশনারা মান্নান, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১), সংরক্ষিত আসনের মোসাম্মৎ খালেদা খানম, মোহাম্মদ এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান (মেহেরপুর-২) ও মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫)।

জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিয়মিত পড়ালেখা হচ্ছে। সেশনজট হচ্ছে না। এজন্য একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করার পর ছয় থেকে সাত বছর সময় পান। এই সময় তারা বহু চাকরির পরীক্ষার অংশ নিতে পারেন।

সর্বশেষ খবর