মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাকি রইলেন শুধু ফখরুল

দলীয় সিদ্ধান্তে চার এমপির শপথ বললেন ফখরুল, রিজভীর দাবি চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাকি রইলেন শুধু ফখরুল

জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিএনপির চার সংসদ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান ছবি : জাতীয় সংসদ

একদিন আগেও দলের হাইকমান্ড দল থেকে নির্বাচিত চার এমপির শপথ ঠেকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন। এমনকি খোদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছিলেন, যেন তারা শপথ না নেন। কিন্তু এক দিনেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করে সংসদে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল বিকালে শপথ নিলেন বিএনপির চার এমপি। বিকাল পৌনে ৬টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ নেওয়া চার এমপি হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং বগুড়া-৪ আসনের এমপি মোশাররফ হোসেন। এর আগে বিএনপি থেকে শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান। গতকাল শপথ গ্রহণের পর বিএনপি থেকে নির্বাচিত এমপিরা বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তেই শপথ নিয়েছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমতি নিয়েই শপথ নিয়েছি।’ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। শপথ গ্রহণ শেষে সংসদ সদস্যরা রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে বিএনপির পাঁচজন এমপি দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন। সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, হুইপ ইকবালুর রহিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিন দিন আগে শপথ নেওয়া জাহিদ এবং হারুনের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াও ছিলেন সেখানে। তিন দিন আগেও আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথাই জানিয়েছিল বিএনপি। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় দল থেকে জাহিদুর রহমান জাহিদকে বহিষ্কারও করেছিল। ওই সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে তার দল অনড়। গতকাল দুপুর থেকেই বিএনপির চারজন সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়া গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় বিকালে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, ‘এমপি ভাগিয়ে নিয়ে বৈধতা নেওয়ার অপচেষ্টা করে বৈধতা পাওয়া যাবে না।’ এমনকি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় বলেছিলেন, ‘এখন যে সরকার আছে, তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বা প্যারোলে মুক্তি নিয়ে সমঝোতার অংশ হিসেবেই সংসদে যাচ্ছে বিএনপি। খুব শিগগিরই বিএনপি প্রধান জামিনে মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই আশ্বাস দেওয়ার পরই তিনি এমপিদের সংসদে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, কোনো শর্তে দলীয় নেত্রীর মুক্তি চান না তারা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকা সংলাপে অংশ নেওয়ার পর ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আসে বিএনপি। ভোটের লড়াইয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জোট গড়ে আশায় বুক বাঁধে। কিন্তু ওই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জেতে মাত্র আটটি আসনে, এর মধ্যে ছয়টিতে বিএনপি এবং দুটিতে গণফোরাম। শোচনীয় হারের পর পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে। তারা বলে, এই ‘অবৈধ’ সরকার ও সংসদকে বৈধতা দিতে তারা সংসদে যাবেন না। কিন্তু এর মধ্যেই গণফোরামের দুজন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান শপথ নিয়ে ফেললে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন বিএনপি নেতারা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সুলতান মনসুরকে বহিষ্কারও করে গণফোরাম। মোকাব্বিরের বিরুদ্ধেও কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। এরপর আকস্মিকভাবে গত বৃহস্পতিবার শপথ নিতে যান ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে ধানের শীষে নির্বাচিত জাহিদ। অন্যদের কঠোর বার্তা দিতে তাকে ওই দিনই বহিষ্কার করে বিএনপি।

বিএনপির সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে সরকার চাপ দিচ্ছে বলে দলটির নেতারা অভিযোগ করলেও জাহিদ বলেছিলেন, নির্বাচনী এলাকার মানুষের চাপে তিনি সংসদে যেতে চান। জাহিদের পর বিএনপির অন্যদের শপথ নেওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়; যদিও দলটির নেতারা শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছিলেন।

এ দিকে চার এমপি শপথ নেওয়ার পর তাদের সমর্থন করে দলের মহাসচিব ও বগুড়া-৬ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত এমপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাতে গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, দলীয় সিদ্ধান্তেই বিএনপির এমপিরা শপথ নিয়েছেন। সংসদের ভিতরে-বাইরে আন্দোলন জোরদার করতেই এমপিদের শপথ। এর আগে বিকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকারের চাপে পড়ে চার এমপি শপথ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিএনপির কোনো এমপিকে শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো চাপ নেই। তার এ বক্তব্যের এক দিন পরই গত পরশু আবার তার কথার প্রমাণ পাওয়া গেছে, অবশ্যই চাপ আছে। চাপ দেওয়া হচ্ছে, জুলুম-জবরদস্তি করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। শুধু তিনি নন, অন্য নির্বাচিতদেরও চাপ দেওয়া হচ্ছে শপথ নিতে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ভোটারবিহীন মিডনাইটের সংসদকে বৈধ করতে বিএনপি থেকে নির্বাচিতদের জোর করে শপথ গ্রহণ করিয়ে বৈধতা পাওয়া যাবে না।’ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত সংসদে না যাওয়ার। এর কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা বিএনপির মহাসচিব বলতে পারবেন। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত যদি শপথ নেওয়ারই হতো তাহলে তো মহাসচিব শপথ না নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করেছেন।’ জানা যায়, খোদ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যে কোনো দিন শপথ নেবেন। শপথ নেওয়ার সময় চেয়ে তিনি স্পিকারকে চিঠিও দিয়েছেন। এ নিয়ে মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘অপেক্ষা করুন, সময় হলেই সব জানতে পারবেন।’ এ দিকে শপথ নিয়ে গতকাল রাতেই সংসদে যোগ দেন বিএনপির চার এমপি। চার এমপি শপথ গ্রহণের পর রাতে একাই সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই বিএনপি থেকে নির্বাচিত চার এমপি আজ শপথ নিয়েছেন। কেন এই সিদ্ধান্ত বদল-তার ব্যাখ্যায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংসদে কথা বলার সীমিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংসদ ও রাজপথের সংগ্রামকে যুগপৎভাবে চালিয়ে যাওয়াকে আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করছি। জাতীয় রাজনীতির এই সংকটময় জটিল পরিপ্রেক্ষিতে দেশনেত্রীর সুচিকিৎসা, মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের অংশ হিসেবে আমাদের দল সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ সেক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না- সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমঝোতার প্রশ্ন কোথায় দেখলেন আপনারা? আমরা বলছি যে, সংসদের ভিতরে ও বাইরে দুই খানেই আমরা এই দাবিটা করে যেতে চাই। সংসদ একটা জায়গা, যেখানে একটা স্পেস আছে টিল টুডে। যেখানে কিছু কথা বলা যায়। সেই কথা বলার জন্য আমাদের যারা নির্বাচিত তারা শপথ নিয়েছেন।’ সরকারের চাপে শপথ নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেননি বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। রিজভী যে চাপের কথা তুলেছেন, তা বলা হলে তিনি বলেন, ‘সেটা শপথ গ্রহণের আগের বক্তব্য ছিল।’ তাহলে কি আপনাদের ওপর কোনো চাপ নেই- এই প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মহাচাপে আছি। গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই, আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। এই চাপ তো আছেই। আমাদের নেত্রী জেলে। এসব সরকারের চাপ নয় কি?’ তাহলে কি নির্বাচনকে বৈধতা দিচ্ছেন- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে, আমাদের কথা বলার সীমিত যে সুযোগ আছে, তার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে সংসদে যাচ্ছি। আমরা এই সংসদেরও বৈধতা দিচ্ছি না। আমরা শুধু ব্যবহার করছি, গণতান্ত্রিক স্পেসটুকু। এর কারণ হচ্ছে, এক, গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবে এবং দ্বিতীয়টা কৌশলগত কারণে।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নেওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছেন- এমন খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সময় হলেই তা জানতে পারবেন।’ সংসদকে বৈধতা দেওয়ার জন্য শপথ নিইনি : শপথ নেওয়ার পর চার এমপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলের এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই আমরা শপথ নিয়েছি। এ সংসদকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আমরা শপথ নিইনি। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ভোট চুরি প্রতিরোধের জন্য শপথ নিয়েছি। জাহিদুর রহমান আগেভাগে শপথ নিয়ে ভুল করেছেন। এ জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। দলের মহাসচিব কেন শপথ নিতে আসেননি, সেটা আপনারা তার কাছেই জানবেন।’ দলের সিদ্ধান্তে শপথ নিয়ে থাকলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সঙ্গে নিয়ে শপথ নিতে আসেননি কেন- জানতে চাইলে হারুনুর রশিদ বলেন, ‘মহাসচিব কী জন্য আসেননি সেটা তাকেই জিজ্ঞাসা করুন।’ বিএনপির এমপি হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণকারী জাহিদুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আজ আমাদের কথা হয়েছে। তার কাছে ক্ষমা চেয়ে জাহিদুর রহমান বলেছেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত আমার অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’ যোগ দিয়েই খালেদার মুক্তি দাবি : এদিকে শপথ নেওয়ার পর সংসদে যোগ দিয়েই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ এমপি বললেন, ‘আমি সংসদ নেতাকে বলব, আমাদের নেত্রী ৭৩ বছরের বৃদ্ধা খুব কষ্টে আছেন। তার মুক্তির বিষয়ে পদক্ষেপ নিন। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।’ ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠারও দাবি জানান তিনি। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত ছিলেন। একাদশ সংসদে গতকাল যোগ দিয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সুবিচার দাবি করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) কোনো বড় অপরাধ করে জেলে নেই। সরকার যদি বাধা না দেয় তাহলে তিনি কালকেই জামিন পাবেন।’

 দেশে বড় বড় খুনি, সন্ত্রাসী জামিন পাচ্ছে আর আমার নেত্রী রাজনৈতিক কারণে হুইল চেয়ারে বসে জেলখানায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি খুব কষ্টে আছেন।’ তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতের ফরমায়েশি রায়ে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাচ্ছেন না। খুনি, ধর্ষক, মাদক ব্যবসায়ী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাচ্ছে। কিন্তু বেগম জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আদালতে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ করলে তিনি জামিন পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম দেশে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি।’

সর্বশেষ খবর