শনিবার, ৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফণীর ছোবলে তাণ্ডবের আশঙ্কা

১২ লাখ আশ্রয়শিবিরে । দেশজুড়ে ঝড়-বৃষ্টি । লোকালয় প্লাবিত । সর্বোচ্চ সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফণীর ছোবলে তাণ্ডবের আশঙ্কা

বিকালে বেসামাল সমুদ্র উপকূল। ঝড়ে ভেঙে পড়া ঘর ও আশ্রয় কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের অবস্থান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত প্রাকৃতিক তান্ডবে রূপ নেওয়ার শঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল সকাল থেকেই এর প্রভাবে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। নদী ও সাগরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি জেলায় বেশ কিছু পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে পড়ে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর ও ফসলি জমি। বেলা পেরিয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকা ঝড়ো হাওয়া আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে। উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নেওয়া উপকূলীয় বাসিন্দাদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে। গতকাল মধ্যরাত থেকেই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর উপস্থিতি উপলব্ধি করা শুরু করে তারা। তবে আজ দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে মূল আঘাত হানবে ফণী। অবশ্য উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর খানিকটা দুর্বল হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। কিন্তু জোয়ার-ভাটার মারপ্যাঁচে আজ দিনভর বাংলাদেশে ফণীর উপস্থিতি কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে তা নিয়ে চিন্তিত খোদ আবহাওয়াবিদরাও।

জানা যায়, ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে নিয়ে গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। পরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে মোটামুটি এর অর্ধেক শক্তি নিয়ে এ ঝড় শুক্রবার মধ্যরাতের দিকে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছানোর কথা। আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহে থাকবে। এরপর তা রাজশাহী, রংপুর এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে দেশের উত্তরাংশ পেরিয়ে যেতে পারে। এর প্রভাব মোকাবিলায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর ২১ থেকে ২৫ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কথা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, মানুষের কোনো ক্ষতি হতে দেব না। এ জন্য ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। সাত হাজার আশ্রয় কেন্দ্রের প্রয়োজন, চার হাজার ৭১টি প্রস্তুত করেছি। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয় কেন্দ্র করার জন্য। ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে অন্যরাও এ কাজে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সন্ধ্যার আগে সব লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে, একটি লোককেও রেখে আসা হবে না। মানুষের পাশাপাশি যতটুকু সম্ভব গবাদিপশুও সরিয়ে আনতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ ফণী খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে। এরপর রাজশাহী, রংপুর এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে দেশের উত্তরাংশ পেরিয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের স্থলভাগ পার হওয়ার সময় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং সংলগ্ন দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। আর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে প্রবল ঝড়ো হাওয়া হবে। আজ শুক্রবার সারা রাত এবং শনিবার সারা দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক ও বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যানুসারে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাগর-নদ-নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলোতে শেষ বিকালের দিকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর চরম ভ্যাপসা গরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, খাবার স্যালাইন, শুকনো খাবার, মেডিকেল টিম, সিপিপিসহ ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও পুলিশ বাহিনীসহ সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারী উদ্ধার কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী এবং বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার এবং যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সাগর ও নদী থেকে মাছ ধরা সব ধরনের নৌকা, ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রোধে জনগণকে সতর্ক করতে কয়েক দিন ধরেই অব্যাহতভাবে মাইকিং হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র। নদীবন্দরে সব ধরনের নৌযান চলাচলে দ্বিতীয় দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গতকাল সকাল থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস। এ অবস্থায় উঠতি বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।

বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রাম : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদী ও সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটুয়াখালীতে বেশ কিছু পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে পড়ে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। তিনটি উপজেলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামগুলোয় পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর ফসলি জমি। কক্সবাজার জেলায়ও বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রাম ডুবে গেছে। জেলার টেকনাফ, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়াসহ আট উপজেলায় বেড়িবাঁধ রয়েছে ৫৯৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে আরও ১০ কিলোমিটার। শুক্রবার জোয়ারের ধাক্কায় ধলঘাটার সরাইতলী ও হামিদখালী গ্রামে ২০-৩০ মিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড লোকজন দিয়ে ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাস্তাঘাট জনশূন্য : ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার পর গতকাল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব শুরুর পর থেকেই রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কমতে থাকে। একই চিত্র ছিল দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়ও। সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের রাস্তায় চলাফেরা ছিল কম। ফণী আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় লক্ষ্মীপুর মেঘনা উপকূলের বাসিন্দাদের দিন কাটছে আতঙ্কে। জেলার ২১টি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৫০ হাজার মানুষ বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছেন।

সতর্কতায় তিন ফ্লাইট বাতিল : ঘূর্ণিঝড় ফণীর সতর্কতা হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি ও নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের শুক্রবারের ঢাকা-যশোর বিজি-৪৬৭ এবং যশোর-ঢাকা বিজি-৪৬৮ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আর ঢাকা-কলকাতা বিজি-০৯৫ ফ্লাইট আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিলম্ব শিডিউল দেওয়া হয়েছে। এটি রাত সাড়ে ৮টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা ছিল।

উদ্ধার-সহায়তায় প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৩২ জাহাজ : ঘূর্ণিঝড় ফণী পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌ অঞ্চলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ। জাহাজগুলো জরুরি খাদ্যসামগ্রী হিসেবে দুই হাজার পরিবারের তিন দিনের শুকনা খাবার বহন করছে। দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নৌবাহিনীর জাহাজ মেঘনা বরিশালে, বানৌজা তিস্তা ঝালকাঠিতে, এলসিটি-১০৪ বরগুনায় এবং এলসিভিপি-০১১ পটুয়াখালীতে নিয়োজিত থাকবে।

কন্ট্রোল রুম তৎপর : দেশজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় জরুরি তথ্য ও নির্দেশনা আদান-প্রদানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম নম্বর হলো ৮০১/ক এবং এর টেলিফোন নম্বর ০২-৯৫৪৬০৭২। মোবাইল ফোন নম্বর ০১৮৭৮-০৯৯৪৯৮। ফণী চলাকালীন ও ঘূর্ণিঝড় শেষে উদ্ধারকাজের পর যে কোনো সহায়তার জন্য কোস্টগার্ডের সার্বক্ষণিক সহায়তায় মোবাইল নম্বরগুলো হচ্ছে- ঢাকা-০১৭৬৬৬৯০০৪৯, খুলনা-০১৭৬৬৬৯০৪০০, বরিশাল-০১৭৬৬৬৯০৬২১ ও চট্টগ্রাম-০১৭৬৬৬৯০১৭১। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় দুর্যোগ ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর-০২-৯৮৫১৩২৩। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের  (বিটিসিএল) নিজস্ব ভবনে টেলিযোগাযোগ সেবা মনিটরিংয়ের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে। এর মোবাইল নম্বর ০১৫৫০১৫১২৫৩।

তারকাদের প্রার্থনা : ঘূর্ণিঝড় ফণীর তা-ব থেকে বাঁচতে উপকূলীয় এলাকার জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য গত পরশু থেকেই মাইকিং শুরু হয়। তারপরও এড়ানো যায়নি প্রাণহানি। পূর্ণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানার আগেই গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ডজনখানেক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে শোবিজ তারকারাও সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কেউ করেছেন প্রার্থনা। দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা জয়া আহসান নিজের ফেসবুকে লিখেছেন ‘সবাই নিরাপদে থাকুন’। জাকিয়া বারী মম লিখেছেন, ‘সবাই সাবধানে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন’। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘সবাই ফণী  থেকে সাবধান’। চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, ঘূর্ণিঝড় ফণী থেকে আমার দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করুন।’

সর্বশেষ খবর