শনিবার, ৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু, আতঙ্ক

প্রতিদিন ডেস্ক

কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় গতকাল বজ্রপাতে সাত জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জে ছয় জন ও নেত্রকোনায় একজন নিহত হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলার কুশাকান্দা গ্রামের মৃত আয়েশ মিয়ার ছেলে আসাদ মিয়া (৪৫) দুপুরে বাড়ির পাশে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে বিকালে একই উপজেলার চর আলগি গ্রামে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- ইন্তাজ আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৩৫) ও আলতাফ উদ্দিনের মেয়ে নূরুন্নাহার (৩২)। বিকালে বাড়ির পাশে ধান ভাঙাতে গেলে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে তারা গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ইটনা উপজেলার কাঠৈর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬) হাওর থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে আক্রান্ত হন। তাকে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় মিঠামইনে নিহত হয়েছেন দুজন। এর মধ্যে কোড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে  সুমন (৭) হাওর থেকে গরু আনতে গেলে বজ্রপাতে নিহত হয়। এ সময় বজ্রপাতে গরুটিও মারা যায়। এ ছাড়া মিঠামইনের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২২) হাওরে ধান কাটতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। নেত্রকোনা : মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আবদুল বারেক (৩৫)। তিনি মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মনিকা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রোমালির ছেলে। স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুরের পর বাড়ির সামনে হাওরে ধান কাটার সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নেত্রকোনা জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় আধঘণ্টা ভারি বৃষ্টি হয়। দুর্গাপুর, মদনসহ নেত্রকোনা শহরে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাতও হয়। সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি। ফলে ভাপসা গরম অনুভূত হয়।

সর্বশেষ খবর