শনিবার, ৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
বাজার দর

ফণীর অজুহাতে বেড়ে গেছে সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় ফণীর অজুহাত তুলে ব্যবসায়ীরা রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, দোলাইরপাড়, জুরাইন, ফরিদাবাদ, রামপুরা, মালিবাগ, হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে সবজির সরবরাহ কম, তাই দাম বেড়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফণী বাংলাদেশে আঘাত হানেনি। অথচ আগেভাগেই ‘রাজধানীতে সবজি কম আসছে’ বলে দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। যদিও কোনো বাজারে সবজির সরবরাহ মোটেও কম দেখা যায়নি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, তিতকরলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা কেজি, শসা ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা কেজি, পটোল ৪০-৫০ টাকা, সজনে ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, ধুন্দল ৭০-৮০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা কেজিতে।

এদিকে বেড়েছে মাছের দামও। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, নাইলোটিকা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকায়। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।  প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার  খোলা সয়াবিন তেল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৬৫ টাকা। অবশ্য গত সপ্তাহে ২১০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগির দাম কমে ১৮০-১৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০-২৮০ টাকা কেজি। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক ও লাল লেয়ার মুরগির দাম ৩০ টাকা কমেছে।

সর্বশেষ খবর