বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রশ্ন উঠেছে- সবাই পার্লামেন্টে গেলেন মহাসচিব গেলেন না কেন? এটা আমার কাছেও খটকা লাগে, দলের সিদ্ধান্তে সবাই গেলে মহাসচিব যাবেন না কেন? আলাদা কারও ভালো থাকা বা আলাদা কারও হিরো হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি কেন সংসদে যোগ দিলেন না নিশ্চয়ই সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নবীন দল। সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কৃষক দলের রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ। বিএনপি নেতাদের শপথ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, দলের স্থায়ী কমিটিতে শপথের বিষয়ে আমরা মতামত দিয়েছি। সিদ্ধান্তের ভার দিয়েছিলাম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে। তিনি আমাদের শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই দলীয় সিদ্ধান্ত। এখন আমাদের সবচেয়ে খারাপ সময়। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন গেছেন। তার সফরের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। সংসদে যোগদানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের আগে জাহিদুর রহমান শপথ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে বাকিরা দলীয় সিদ্ধান্তে শপথ নিয়েছেন। আমাদের সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক না বেঠিক এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের সবাইকে এক সুরে কথা বলতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের পাঁচজন গেছেন পার্লামেন্টে। নেত্রীর কথা, দেশের কথা বলবেন। তারা বলেছেন, জনগণের চাপ, আমরা কেউ কেউ বেকুবের মতো বলছি সরকারের চাপ। জনগণের চাপ সত্য নাকি সরকারের চাপ? আমরা এলোমেলো কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছি।
