সোমবার, ৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

চলছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব-নিকাশ

ফণীতে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব-নিকাশ

সিরাজগঞ্জে ফণীর প্রভাবে দেখা দিয়েছে ভাঙন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এখন ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব-নিকাশ চলছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জেলা প্রশাসনকে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে রিপোর্ট ও সহায়তা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছেÑ তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলা হয়েছে।

গত শনিবার ভোর ৬টায় ভারত হয়ে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ১২ ঘণ্টা বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করে। মেহেরপুর, যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ প্রবেশ করে ক্রমশ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ আকারে উত্তর ও উত্তর-পূর্বের কয়েকটি জেলায়ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ ছাড়া উপকূলীয় ১৯ জেলায়ই ফণীর আঘাতে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে পাকা ধান। বাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনÑ সাতক্ষীরা : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬০০ কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কুড়িকাউনিয়া ও প্রতাপনগর এবং দেবহাটা উপজেলার খানজিয়া নামক স্থানে ইছামতী নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনি ও পদ্মপুকুরের ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ২৭টি পয়েন্ট ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাঁধ ভেঙে গেলে শ্যামনগর উপজেলা প্লাবিত হবে। জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্যোগকবলিত মানুষের মাঝে এরইমধ্যে ২৭শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণনির্মাণে ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। খুলনা : জেলার দাকোপ, কয়রা ও বটিয়াঘাটায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে, ৩ হাজার ৬৫০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। দাকোপ উপজেলায় রিংবাঁধ ভেঙে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়রায় ঘাটাখালী, ঘোগড়া, হরিণখোলা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। নোয়াখালী : নোয়াখালীর উপকূলীয় চরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। অনেকের কাছে এখন পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছেনি। কিছু এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে নগদ টাকা ও সরকারিভাবে চাল বিতরণ করা হলেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই কম। সরকারি হিসাবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে নোয়াখালী সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬৮৯টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে এবং ৩৩৩টি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়। এতে ৬৮৯টি পরিবার খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৭০টি পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৬৩টি পরিবার। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। তাদের জিআর চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হচ্ছে। যাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন ঘর করে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পটুয়াখালী : ফণীর আঘাতে জেলার ছয় হাজার একর জমির ফসল, তিন হাজার গাছপালা, ১০ কিলোমিটার বেরিবাঁধ ও ২ হাজার ৯২টি বসতঘর (আংশিক) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ১৭৫টি গবাদিপশু ও ১১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, পটুয়াখালীতে ২০০ মেট্রিক টন জিআর চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। ভোলা : উপকূলে পূর্ব সতর্কতা ও প্রশাসনের প্রস্তুতির কারণে ঘূর্ণিঝড়ে ভোলার চরফ্যাশনে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা  প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও অসহায় দরিদ্রদের আধা কাঁচা টিনের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেকেরই এখন মাথার ওপর ছাউনি নেই। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বাসস্থানের দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, চরফ্যাশনে ১২টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর মেরামতের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ হয়নি। সরকারিভাবে ফণী আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছে। এদিকে তালিকা অনুযায়ী অসহায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ী ঘর করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। বরিশাল : দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। গতকাল দুর্গতদের চাল, ডাল, তেল, ওষুধসহ ১১টি সামগ্রী দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩ দিনের শুকনো খাবারও রয়েছে। গতকাল প্রথম দিনে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জে ৫শ পরিবারের মাঝে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। বরগুনা : প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিতে বরগুনার ৬টি উপজেলায় ১ হাজার ২০৩ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ হেক্টর জমির বোরো ধান, ৩৪ হেক্টর জমির মরিচ, ৪১ হেক্টর জমির তিল, ২১৪ হেক্টর জমির চিনাবাদাম ও ৮২৪ হেক্টর জমির মুগডাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা এনজিও থেকে ঋণ করে আবাদ করেছিলেন। ফসল নষ্ট হওয়ায় তারা মহাবিপদে পড়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মতিয়ুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জ : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যমুনা নদীতে ভাঙনে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ৮৫নং ডিগ্রি তেকানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শনিবার বিকালে প্রবল বাতাসের কারণে আকস্মিক যমুনায় ভাঙন দেখা দেয়। এতে বিদ্যালয়ের অর্ধেক নদীতে ধসে যায়। বর্তমানের বিদ্যালয়টি বন্ধ আছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা সম্ভব হলো না। শিক্ষার্থীদের বিকল্পভাবে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে ফণীর প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বেড়ে ভেঙে গেছে ফসল রক্ষা বাঁধ। পানি ঢুকছে জেলার বৃহৎ পাঁচটি হাওরে। এতে হাওরে থাকা বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত হাওরগুলো হচ্ছে তাহিরপুর উপজেলার শনি ও মাটিয়ান হাওর, জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওর, ধর্মপাশা উপজেলার সোনামোড়ল হাওর এবং সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওর। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দাবি, বাঁধ ভেঙে যে হাওরগুলোতে পানি ঢুকছে সেগুলোর ৯৩ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাকি ৭ ভাগ ধান হাওরে পানি ঢোকার পূর্বে কৃষকরা কেটে নিতে পারবেন। এদিকে ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ নামের সংগঠনটি বলছে এখনো ৩০ ভাগ জমিতে পাকা ধান রয়েছে। বাঁধগুলো দুর্বল করে নির্মাণ করায় পানির প্রথম ধাক্কাতেই ভেঙে গেছে। মাদারীপুর : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব আর টানা বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম এলাকার কালাইতলা বিলের ৩ হাজার হেক্টর জমির ধান। এখনো পানি ঢুকতে থাকায় আরও দুই হাজার হেক্টর জমির ধানও তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বাঁধ রক্ষার্থে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় লোকজন প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি দ্রত বাড়তে থাকায় বিলের অন্যান্য বাঁধও ঝুঁকিতে রয়েছে। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি সরেজিন গিয়ে বাঁধ রক্ষার জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করেছি এবং বাঁধ রক্ষার কাজে নিয়োজিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। রংপুর : ফণীর তা-বলঙ্কা শেষে অকাল বন্যার আশঙ্কা করছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা-ধরলা নদীবেষ্টিত রংপুর অঞ্চলের মানুষ আগাম বন্যার আশঙ্কা করছেন। ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর তিস্তা ও ধরলার দুপাড়ের ১০ লাখ মানুষের চোখে-মুখে এখন বন্যা আতঙ্ক। তারা বলছেন, ভারত গজলডোবার বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দিলে হুহু করে নদ-নদীতে পানি বাড়বে। এতে তিস্তা ও ধরলার পানি দুকূল উপচিয়ে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। বন্যার আশঙ্কায় ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি গেল খুলে রাখা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে রামগতি ও সদরের পল্লী বিদ্যুতের ১৪টি খুঁটি। তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বহু এলাকা। শনিবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট গ্রাহকের ৩০ ভাগ মানুষ অন্ধকারে ছিল। গতকাল কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ এলেও এখনো অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। চট্টগ্রাম : উপকূলের বেড়িবঁাঁধ ভেঙে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে কাঁচা বাড়িঘর, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকা, আনোয়ারার গহিরা, সরেঙ্গা, বাঁশখালী, সন্দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চলের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি। নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ ও নবনির্মিত বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ভেঙে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গহিরা গ্রাম ও সরেঙ্গা গ্রাম লবণ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি ও মাছের ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর