বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
পর্যবেক্ষণ

রাজনীতিতে আদর্শিক দুর্ভিক্ষ ও মরুকরণ

পীর হাবিবুর রহমান

রাজনীতিতে আদর্শিক দুর্ভিক্ষ ও মরুকরণ

রাজনীতিতে এখন মরুকরণ ও আদর্শিক দুর্ভিক্ষ চলছে। অতীতে আর কখনো এমনটি হয়নি। আমাদের রাজনীতির অতীত যত ঐতিহ্য-গৌরবের, বর্ণময়, অহংকার ও মর্যাদার ঠিক তেমনি বর্তমান রাজনীতি থেকে দিনে দিনে রাজদুর্নীতির উত্থান পর্বে এসে হারিয়েছে সব গৌরব, ঐতিহ্য, মর্যাদা ও অহংকার। রাজনীতি বর্ণহীন, ধূসর হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মনে হয়, দেশে শেখ হাসিনার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ থাকলেও নেই কেবল রাজনীতি। নদী যেমন পলিমাটি জমতে জমতে ভরাট হয়, নাব্য হারায়, তেমনি রাজনীতিতেও চিরাচরিত কর্মকা  ও রক্তসঞ্চালন বন্ধ হতে হতে নাব্যই হারায়নি, মরুকবলিত হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ পশ্চিমা দুনিয়ার কাছে বিস্ময়কর উত্থান মনে হলেও, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লেও কিংবা জীবনযাত্রার মান উন্নত হলেও সবচেয়ে রুগ্নদশা দেখা দিয়েছে রাজনীতির। রাজনীতিতে আদর্শ, মূল্যবোধ ও গণতন্ত্রের চর্চা দিনে দিনে আজ একদম নির্বাসিত হয়ে উঠেছে। আমাদের বেড়ে ওঠার সময়ে রাজনীতি ছিল রাজনীতির মহাকাব্যের নায়কদের হাতে। রাজনীতি ছিল রাজনীতিবিদদের হাতে। আমাদের রাজনীতিতে এখন মহাকাব্যের নায়করা আর নেই। এখন রাজনীতি রাজনীবিদদের হাতছাড়া হয়ে কোথাও ব্যবসায়ী, কোথাও মধ্যস্বত্বভোগী দালাল কোথাও বা দলবাজ আমলাদের হাতে চলে গেছে। মাঝে মাঝে বোঝাও যায় না রাজনীতির নাটাই আসলে কার হাতে। আমাদের বেড়ে ওঠার সেই আদর্শিক রাজনীতির সময়টা ছিল সহজ-সরল নিরাভরণ সাদামাটা জীবনের। রাজনীতি যে আদর্শের প্রতি অবিচল আর মানুষের কল্যাণে নিবেদিত সেটি তখনকার রাজনীতিবিদদের আপাদমস্তক জুড়ে শোভা পেত। তাদের জীবনও মানুষের সামনে খোলা বইয়ের মতো ছিল সহজ-সরল। তাদের গণমুখী চরিত্র ও সৎ রাজনৈতিক জীবনের কারণে মানুষ মতপথ ভুলে গিয়েও তাদেরকে অন্তর দিয়ে শ্রদ্ধা, সম্মান ও সমীহ করত। একালে সেই মহাকাব্যের যুগের রাজনীতির মহানায়কদের উত্তরাধিকারিত্ব বহন করা যারা বেঁচে আছেন তারা রাজনীতিতে কার্যত কর্তৃত্বহীন। আদর্শিক কর্মীরা বেমানান হতে হতে ঘরে ঢুকে গেছেন। যাদের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তারা এখন সমর্থকে পরিণত হয়েছেন। রাজনৈতিক বাণিজ্যিকীকরণের কাছে রাজনৈতিক আদর্শ ও মূল্যবোধ পরাজিত হয়েছে। একালে রাজনীতিবিদদের মানুষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বদলে স্বার্থের খাতিরে, মতলবের কারণে না হয় ভয় থেকে সমীহ করছে। হৃদয়-মন উজাড় করা সম্মান ও ভালোবাসা এখন নির্বাসিত।

পুঁজিবাদের আগ্রাসন ও প্রযুক্তির চরম বিকাশের বিপরীতে আদর্শিক সমাজতন্ত্রের লড়াই নব্বই দশকের শুরুতেই বিশ্বরাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছে। সমাজতন্ত্রের পতনের ফলে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। সেখানে তার বিপরীতে কোনো আদর্শিক রাজনৈতিক দর্শন না থাকায় মাঝখানে জন্ম নিয়ে ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ পশ্চিম থেকে পুবে মানুষের শান্তি হারাম করে দিয়েছে। পৃথিবীজুড়ে এখন একনায়কতন্ত্রের কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাও দেশে দেশে ভঙ্গুর হতে চলেছে। গণতন্ত্রের সংগ্রাম থেকে, অধিকার আদায়ের লড়াই থেকে আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ স্বাধিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নই ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষণমুক্ত মানবিক রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে র মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকেই নির্বাসনে দেওয়া হয়নি, সংবিধানকেই কাটাছেঁড়া করা হয়নি, মানুষের মৌলিক অধিকারই হরণ করা হয়নি, এমনকি রাজনীতিকে আদর্শবাদিতার জায়গা থেকে ক্ষমতা ও বিত্তের লোভ-লালসার পথ খুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসনকবলিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্ত হলেও দিনে দিনে সেটি হৃষ্টপুষ্ট করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার বদলে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার প্রলোভনে ছন্দপতন ঘটানো হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব রাজনৈতিক শক্তিই নয়, ব্যবসায়ীদেরও একহাত নিয়েছে মাঝখানে। সেই শক্তিকে বিদায় করে রাজনীতিবিদরা প্রত্যাবর্তন করলেও গণতন্ত্রের ধারায় রাজনীতি আর আদর্শিক উর্বরতা পায়নি। রাজনীতি আর সেই প্রমত্তা পদ্মার মতো কলকল ধ্বনি তুলে প্রাণ সঞ্চার করেনি। রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ব্যর্থতা-দুর্বলতার পথ ধরে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী মাথা তুলে দাঁড়িয়ে মাঝখানে ফায়দা তুলেছে। একদিকে রাতারাতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থক বা সক্রিয় কর্মী হয়ে গেছে ১০ বছরে প্রায় গোটা দেশ। অন্যদিকে শাসক দলের একচ্ছত্র কর্তৃত্বের বিপরীতে নানা সময়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত ও ভ্রান্তনীতির খেসারতে নানামুখী দমনপীড়নে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জনপ্রিয়তা থাকলেও কার্যত এখন পঙ্গুত্ববরণ করেছে। দলের নেত্রী ও শক্তির উৎস বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে নির্বাসিত তারেক রহমান একুশের গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দ প্রাপ্ত, আইনের চোখে পলাতক আসামি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ক্লিন ইমেজ ও গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও স্বাধীনভাবে নিজের মতো এই বিপর্যয় থেকে দলকে নিয়ে অগ্রসর হতে পারছেন না। মাঝখানে শক্তিশালী সরকারের পাশাপাশি শক্তিশালী বিরোধী দলের যে উপস্থিতি দরকার তা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে মাঠের কর্মীরাও নিষ্প্রাণ, নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে আছেন। হতাশা গ্রাস করেছে কর্মী-সমর্থকদের। ঐক্যফ্রন্ট নড়বড়ে। ২০-দলীয় জোট ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে। অনেক নাটকীয়তার পর বিএনপির এমপিরা সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শপথ নিয়েছেন। এ শপথ নিয়ে রহস্যের সমাধান এখনো হয়নি। বলা হয়েছে, তারেক রহমানের নির্দেশে তারা শপথ নিয়েছেন। আবার তারই নির্দেশে কৌশলগত কারণে মির্জা ফখরুল শপথ নেননি। জানা যায়, সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার আলোচনা করছিলেন। সরকারের ওপর মহল থেকেও সংসদে যোগদান করলে খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়া হবে- এমন দফারফা হয়েছিল। কিন্তু সংসদে গিয়ে সরকারকে সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত করে মির্জা ফখরুল যে বিতর্কের ঢেউ তুলতেন তাতে তার জনপ্রিয়তা আরও তুঙ্গে উঠত। তারেক রহমান তা চাননি বলেই শামীম ইস্কান্দারকে দিয়ে ফখরুলকে সংসদে যেতে বারণ করেছেন। ফখরুল না যাওয়ায় বিএনপির সংসদে যোগদান যেমন কৌতুকপ্রিয়তা পেয়েছে তেমনি খালেদা জিয়ার জামিনটাও নাকি আটকে গেছে। আমাদের পূর্বসূরিদের সেই সাদামাটা আদর্শিক রাজনীতির প্রভাব গোটা সমাজেও পড়েছিল। রাজনৈতিক ও সামাজিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত। বিত্তের চেয়ে চিত্তের সুখ ছিল বেশি। সচ্ছল জীবন যাপনই ছিল বড় চাওয়া। মানুষে মানুষে ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধন ছিল গভীর। এত কাঁচা টাকার ওড়াউড়ি, এত লোভ-মোহ সরল সমাজকে স্পর্শ করেনি। বই পড়ার প্রতি, জ্ঞান আহরণের প্রতি ছোটবড় সবার নেশা ছিল তীব্র। টানাপড়েন জীবনে বাড়িতে লাইব্রেরি না থাক বুকসেলফ্ ছিল। খেলাধুলা, গান-বাজনা, কবিতা প্রকাশনা জড়িয়ে ছিল জীবনে। প্রকৃতির নৈকট্যলাভ হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করেছি আমরা। সামাজিক মূল্যবোধ রাজনৈতিক মূল্যবোধের হাত ধরে পেয়েছিলাম। যার যার ধর্মীয় উৎসবে প্রাণ ছিল। সাম্প্রদায়িকতার বিষের বাতাস ছিল না। আজ আমাদের দেশ উন্নয়নে এগিয়েছে। অথনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু সেই গৌরবের রাজনীতি আদর্শের পথ ছেড়ে খাদে পড়েছে। এখন সবাই রাতারাতি অঢেল অর্থবিত্ত-বৈভবের মালিক হতে লোভে লকলকে ফণা তুলে কাটছে। লোভের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে সমাজ। সৎ ও গুণী মানুষেরা এখন অযোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক কর্মকা  স্থবির। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজনীতি কার্যত একদম থেমে গেছে। উপজেলা নির্বাচন ভোটারের আকর্ষণহীনতা তুলে ধরেছে। প্রাণহীন রাজনীতি মানুষকেও প্রাণহীন করেছে। কোথাও কারও মন ভালো নেই। প্রকৃত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মনেও আনন্দ নেই। আনন্দ কেবল ক্ষমতার ওপর জিন-ভূতের মতো যারা এসে ভর করেছে। ব্যাংক লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। শেয়ারবাজার লুট করে মাটিতে শুইয়ে দিয়েছে। বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে সম্পদ গড়ছে। তদবির বাণিজ্য ও সুবিধাভোগী বেনিফিশিয়াররাই কেবল মহা আনন্দে আছে। যারা নানা পথে বলছে কামাও কামাও। রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে দলবাজিতে নিমজ্জিত সাংবাদিকতা গণমাধ্যমকেও মানুষের আস্থার প্রশ্নে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। জাতীয় রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে সরকারি ও বিরোধী দলগুলো রাজনৈতিক কর্মকা  সভা-সমাবেশের মাধ্যমে, আদর্শিক রাজনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে মানুষকে এই নিষ্প্রাণ পরিবেশ থেকে মুক্তি দিতে পারে।

আমাদের সেই আদর্শিক রাজনীতির জমানায় যাদের বিতর্কিত বলে দূরে রাখা হতো, যাদের লুটেরা সুবিধাবাদী মনে করে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হতো এমনকি যাদের রাজনীতিও সমাজের জন্য বোঝা মনে করা হতো আজ তারাসহ সবাই একাকার হয়ে গেছে। মর্যাদাহীন সস্তা সুবিধাভোগীদের হাতে রাজনীতি ও সমাজের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে। অনেক ক্ষমতাবান দায়িত্বশীলের আড্ডার আসরে বসলে দেখা যায়, তাদের ঘাড়ে সস্তা নির্লজ্জ চাটুকাররা ভর করে এতটাই মুনাফা লুটছে যে, কোথায় কী বলছে তার খেয়াল রাখছে না। যেখানে সেখানে চাটুকাররা বয়ান রাখছে। সেখানে গুণীজনরা উপস্থিত থাকলে বিব্রত হচ্ছেন। গুণীজনদের এখন খুঁজে বের করতে হয়। চারদিকে সস্তা নষ্টদের উল্লাস চলছে। দম্ভ চলছে। ক্ষমতার গণজোয়ারে সব সরকারের আমলেই এদের পাওয়া যায়। এবার এদের পরিমাণটা অনেক বেশি। এই যা পার্থক্য। এ অবক্ষয়, এ আদর্শহীনতা থেকে আমাদের সেই মহাকাব্যের রাজনীতির নায়কদের রাজনীতিকে মুক্ত করতে হবে। রাজনীতির এই মরুকরণ কাটিয়ে উঠতে হলে প্রতিটি দলে গণতন্ত্রের চর্চা অর্থাৎ তৃণমূল থেকে কাউন্সিলরদের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের পথ যেমন খুলে দিতে হবে তেমন তাদের আমলনামাও পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। আর গণরাজনীতির এই মরুকরণের সমাপ্তি টানতে হলে ডাকসুর মতো সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সব ধরনের দমনপীড়ন থেকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্ত রাখতে হবে। সমাজ থেকে, রাজনীতি থেকে সব ধরনের আতঙ্ক দূর করতে হবে। সরকারকে গণতন্ত্রের সব দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে বুকভরে শ্বাস নিতে। সব মতপথের মানুষের কথায় বিতর্কে মুখরিত হোক সমাজ ও রাজনীতি। বিষাদ কাটিয়ে আনন্দ আসুক মানুষের মনেপ্রাণে। নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হোক ও মানুষের আস্থা অর্জন করুক। সব শাসনব্যবস্থার মধ্যে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই উত্তম। যেখানে শক্তিশালী সরকারের পাশাপাশি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকবে মানুষের জন্য সক্রিয়। নির্বোধ যুক্তিহীন সুবিধাবাদী দালাল, দলদাস দলকানা ও দলকানীরা থাকবে নিরাপদ দূরত্বে। এই দলকানা দলদাসীরা ব্যক্তি সমাজ রাজনৈতিক নেতৃত্ব সবার জন্য ভয়ঙ্কর। সংবিধান ও আইনের পথে হাঁটবে দেশ। স্বাভাবিক গতিতে চলবে রাজনীতি ও মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা।

সর্বশেষ খবর