শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার আলটিমেটাম

সংসদে যোগদান প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দুই শরিকের বিপরীত অবস্থানের সৃষ্ট সংকটের সমাধান না হলে ফ্রন্ট ছেড়ে দেবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। গতকাল দুপুরে মতিঝিলে সংগঠনের বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়নি। বিশেষ করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পর কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই ফ্রন্টের ৭ জন সদস্য শপথ নিলেন। ঐক্যফ্রন্ট পরিচালনায় কেন এই দুর্বলতা? আমরা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এক মাসের মধ্যে যে যে অসঙ্গতি আছে তা নিরসন না হলে ৮ জুন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে।’ গত ১৩ অক্টোবর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। ৫ নভেম্বর এ জোটে যোগ দেন কাদের সিদ্দিকী। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সহসভাপতি নাসরিন সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যারা শপথ নিয়েছেন তারা মীরজাফরের  চেয়েও বেশি নিন্দিত হিসেবে বিবেচিত হবেন।’ ‘ড. কামাল  হোসেন, আ স ম আবদুর রব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মাহমুদুর রহমান মান্না ও মোস্তফা মহসীন মন্টুর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আমি জোটের মধ্যকার অসংহতির কথা বলেছি। বঙ্গবীর বলেন, ‘নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ফ্রন্ট সঠিকভাবে চলতে পারেনি, চলেনি। নির্বাচনী সহিংসতার শিকার যারা হয়েছেন তাদের পাশে ঐক্যফ্রন্ট সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। ফেনীর নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল তাও বাতিল করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে জঘন্য নাটক হয়েছে। যা শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর  কোনো দেশেই এমন নাটকের নজির নেই। ঐক্যফ্রন্ট থেকে বলা হয়েছিল, আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। সেটা ছিল যথার্থ, রাজনৈতিক স্বার্থে। পরবর্তীতে গণফোরামের সদস্য সুলতান মনসুর শপথ নিলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। আবার মোকাব্বির খান শপথ নিলে ড. কামাল  হোসেন তাকে গেট আউট বলেন। পরে দেখা যায় গণফোরামের বিশেষ সভায় মোকাব্বির খান উপস্থিত। এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।’ ‘বিএনপির নির্বাচিত ছয়জনের মধ্যে প্রথম যখন একজন শপথ নিলেন, বহিষ্কার করা হলো। পরবর্তীতে চারজন যখন শপথ নিলে তাদের স্বাগত জানানো হলো। কিন্তু মির্জা ফখরুল শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকলেন। মানুষের কাছে এসবের জবাব দিতে হয়। এসব বিভ্রান্তির অবসান হওয়া উচিত।’

সর্বশেষ খবর