রবিবার, ১২ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

দেশে ফিরে ফণীতে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাজ্যে ১০ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেই ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ তৎপরতা ও পুনর্বাসনের খোঁজখবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইট অবতরণ করে। সিনিয়র মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। বেলা সোয়া ১০টার দিকে তিনি গণভবনে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গণভবনে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে পৌঁছে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে তুলনামূলক কম ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় শুকরিয়া আদায় করেন। তিনি বলেন, ফণী যেভাবে আঘাত হানার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি, আল্লাহ রহম করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় দেশের খোঁজখবর নিয়েছি। ফণী মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে আমাদের প্রস্তুতি ছিল। সে কারণে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে জানতে চান, ফণীর আঘাতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ত্রাণ বিতরণ ঠিকমতো করা হয়েছে কিনা এবং পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা? জবাবে দুজন কেন্দ্রীয় নেতা সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে সাতক্ষীরা, বরগুনা, ফেনী, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিতরণের তথ্য জানান। লন্ডন সফরে চোখের চিকিৎসা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নেতা-কর্মীদের জানান, একটি চোখের অপারেশন হয়েছে। চোখে এখনো ব্যথা আছে। ডাক্তার রোদে যেতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরও জানান, দেড় মাস পর ডাক্তারের কাছে ফলোআপের জন্য যেতে হবে। এ সময় রমজানে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবীদের সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর ইফতারগুলো যেন সুন্দরভাবে সমাপ্ত করা যায়, সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের দেখভালের নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুস সবুর, সুজিত রায় নন্দী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, রিয়াজুল কবির কাওছার, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক ছাত্রনেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।  অন্যদিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা। লন্ডনের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। ১০ দিনের সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী গত ১ মে লন্ডন যান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে তাজ হোটেলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।

 

সর্বশেষ খবর