শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির প্রার্থী কে

বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনে আলোচনায় রিজভী আলাল রিপন স্বপন ও সিরাজ

মাহমুদ আজহার

সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির প্রার্থী কে

দলের পাঁচ এমপি শপথ নেওয়ার পর এবার সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির প্রার্থী কেÑ এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।

পাশাপাশি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেওয়ায় বগুড়া-৬ শূন্য আসনের উপনির্বাচনেও একঝাঁক নেতার নাম আলোচনায় রয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যানুযায়ী নারী আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে দলীয়ভাবে বিএনপির নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

এদিকে আগামী সোমবারের মধ্যেই সংরক্ষিত আসনে বিএনপির নারী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে হবে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের

বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে একজন নারী প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন বলে জানা গেছে। বিএনপির অভ্যন্তরে তিন নতুন প্রার্থীর নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। তারা হলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক  ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়চৌধুরী। পাশাপাশি বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বিএনপির চার নেতার নামও আলোচনায় রয়েছে। তারা হলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্মমহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন। এ ছাড়া সাবেক এমপি জি এম সিরাজের নামও রয়েছে নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। দলীয় প্রার্থিতার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এলাকার প্রার্থীকে এগিয়ে রাখতে চান। আবার কেউ কেউ বলছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নামও। তবে দলের প্রার্থী কে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনে জয় পায় বিএনপি। এর মধ্যে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকিরা শপথ নিয়েছেন। মির্জা ফখরুল শপথ না নেওয়ায় ৩০ এপ্রিল ওই আসন শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর ৮ মে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৪ জুন এ আসনে উপনির্বাচন হবে। এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিএনপির ভাগের একটি নারী আসনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী ২০ মের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রার্থিতা বাছাই ২১ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৮ মে এবং ভোট ১৬ জুন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩, জাতীয় পার্টির ৪, ওয়ার্কার্স পার্টির ১ এবং স্বতন্ত্র ১ জন রয়েছেন। জানা গেছে, সংরক্ষিত নারী আসনে ওই তিন নেত্রীর বাইরেও কয়েকজনের নাম আলোচনায় আছে। তারা হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাবেক এমপি নিলোফার চৌধুরী মণি ও সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান। তবে নতুন তিন নারী প্রার্থীর নাম বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। সংরক্ষিত আসনে বিএনপির নারী প্রার্থী প্রসঙ্গে গতকাল বিকালে শামা ওবায়েদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপির হাইকমান্ড বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। দল যাকে ভালো মনে করবে তাকেই মনোনয়ন দেবে। আমি ফরিদপুরে সরাসরি আসনে নির্বাচন করছি। তবে এখন পরিবেশ-পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। দল যদি আমাকে বিবেচনায় নেয়, তাহলে আমি আমার দায়িত্ব পালন করব।’ একই কথা বলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তার মতে ‘দল যাকে ভালো মনে করবে তাকেই প্রার্থী দেবে।’ নিপুণ রায়চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে আমি একজন নারী হয়েও সামনে থাকার চেষ্টা করেছি। জেল-জুলুম, মামলা-হামলারও শিকার হয়েছি। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো কারাবন্দী। তাঁর পাশাপাশি গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলনে সব সময়ই থাকব। আমি কোনো কিছু পেতেই হবে সেজন্য রাজনীতি করি না। দলকে ভালোবেসে দেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই রাজনীতি করি। এখন যদি আমাদের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব বিবেচনায় নিয়ে আমাকে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী করেন তাহলে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব।’

সর্বশেষ খবর