শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছাত্র রাজনীতি করেছি কখনো পদ নিয়ে চিন্তা করিনি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমার রাজনীতি শুরু। কিন্তু কোনো বড় পোস্টে ছিলাম না, কখনো বড় পোস্ট চাইওনি। পদ তৈরি করা এবং সবাইকে পদে বসানোর এই দায়িত্বই পালন করতাম। ’৭৫-এর পর দলের যে এত বড় দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে, সেটা আমি কখনো ভাবিওনি, চাইওনি। এমন দায়িত্ব নেওয়ার কথা চিন্তাতেও ছিল না। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৩৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল দলীয় নেতা-কর্মীরা গণভবনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তারপর কলেজে, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রলীগেরই সদস্য ছিলাম। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। কখনো পদ নিয়ে চিন্তা করিনি, পদ চাইওনি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে যখন ফিরেছিলাম (১৯৮১ সালের ১৭ মে) সেদিন আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। প্রচ  ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল। বিমানটি বাংলার মাটি ছুঁয়েছে, ট্রাকে করে আমাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ওই সময় ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল। এয়ারপোর্ট থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত এত মানুষের ঢল যে, এটুকু পথ আসতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সেই নির্মম ঘটনা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মাত্র ১৫ দিন আগে জুলাই মাসের ৩০ তারিখে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে আমি জার্মানিতে গিয়েছিলাম। রেহানা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কলেজে গেলাম। সবাইকে রেখে গিয়েছিলাম, কামাল, জামাল, রাসেল। মাত্র ১৫ দিনের মাথায় শুনলাম আমাদের কেউ নেই, আমরা নিঃস্ব। আমাদের দেশেও আসতে দেওয়া হলো না। একপর্যায়ে চাচা এসে আমাদের নিয়ে যায়। দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই ফিরে এসেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে আসব। আমি জানি না কী করব, কোথায় থাকব, কই যাব। অনেক বাধা, অনেক বিপত্তি। তবু সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আসতেই হবে। শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতির কাজ করে যেতাম আব্বার আদর্শ নিয়ে। তিনি দেশের জন্য কাজ করেছেন। বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। এ নিয়ে আমাদের কোনো হা-হুতাশ ছিল না। আমার মা খুব চিন্তাশীল ছিলেন, তিনি বাসাও দেখতেন, বাইরেও দেখতেন। দাদা-দাদি, চাচারা পারস্পরিক সহযোগিতা করতেন। এমন একটি পরিবেশ থেকে আমরা উঠে এসেছি, যে মাথাতেই ছিল দেশের জন্য কিছু একটা করে যেতে হবে। তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর থেকেই পদে পদে বাধা। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারাই তখন ক্ষমতায়। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ১৯টি ক্যু হয়েছিল। এক সামরিক শাসকের মৃত্যুর পর আরেক সামরিক শাসক এলো। আমরা আওয়ামী লীগ কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য একটার পর একটা সংগ্রাম করেই গেছি। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ গাম্বিয়া : গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু টাঙ্গারা বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে নিতে গাম্বিয়া ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’। তিনি গতকাল সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন। বিডিনিউজ।

সর্বশেষ খবর