বুধবার, ২২ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টা

উপমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে অপহরণ চেষ্টাকারী আটক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টা

মধুর ক্যান্টিনে হামলা ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ার জেরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেত্রী। জারিন দিয়া নামের ওই নেত্রী সংগঠনটির বিগত কমিটির সদস্য ছিলেন। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ জানান, সোমবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ছাত্রলীগ নেত্রী দিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে            আনা হয়। পরে তার পাকস্থলী ‘ওয়াশ’ করে ৫০২ নম্বর ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। গতকাল তার শারীরিক অবস্থা ভালো হওয়ায় বিকালে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন তার বাসায় আছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ না পাওয়া এবং মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় বহিষ্কার হওয়ার মানসিক যন্ত্রণা থেকে দিয়া আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা। তারা বলেন, ‘অথচ মধুর ক্যান্টিনে জারিন দিয়াই হামলার শিকার হন।’ এতে তিনি কোমরে আঘাত পেয়েছিলেন বলে জানান তারা। জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় জারিন দিয়াকে। এর তিন ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি রেওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর প্রতি কিছু প্রশ্ন রেখে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জারিন। নতুন কমিটিতে পদ না পাওয়া এবং এর পরের কিছু ঘটনা উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জারিন দিয়া লেখেন, ‘আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। জানি না কী করব। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে প্রশ্নগুলির উত্তর নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে।’ জারিন দিয়া তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর উদ্দেশে বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে আমার সঙ্গে রাব্বানী ভাইয়ের ক্ষোভের ঘটনাটি উল্লেখ করি, যেটি ভাইরাল হয়ে যায়। আজ সেই স্ট্যাটাসটার জন্য আমাকে ছাত্রলীগ থেকে তারা বহিষ্কার করে দিলেন?... আমি সেদিনের মারামারিতে যখন কোমরে আঘাত পেলাম, কই, আপনারা তো আমার একটা খোঁজ নিলেন না!’

উপমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার : শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সেজে এক ছাত্রলীগ নেত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে মো. ওসমান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত ভোররাতে ডবলমুরিং থানার ঝরনাপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওসমান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ওয়াদুদের ছেলে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশাকে ফোন করেন ওসমান। এ সময় তিনি নিজেকে উপমন্ত্রী নওফেল বলে দাবি করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এরপর দিশা সংবাদ সম্মেলন করে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি জিডিও করেন দিশা। শিক্ষা উপমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার খবর প্রকাশ হওয়ার পর তার ব্যক্তিগত সহকারী নাজিউর রহমান শিকদার অনীক কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরই অভিযান চালিয়ে ওসমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর