বুধবার, ২২ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
খেলাপিদের বিশেষ সুযোগে স্থিতাবস্তা দিয়ে হাই কোর্ট

ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা ঋণখেলাপি তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য ব্যাংক উঠেপড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। আদালত বলেছে, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পাচার করা হচ্ছে, অথচ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই। আবার যদি তারা সুযোগ পায় তাহলে তারা আরও এক লাখ কোটি টাকা নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারসংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিতে গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করে। পরে ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে জারি করা ওই সার্কুলারের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাই কোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে মনজিল মোরসেদ নিজেই শুনানি করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন মো. মনিরুজ্জামান। আদেশের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরে খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা ওই সার্কুলারকে আদালত ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ মে আদালতে গিয়ে বলেছিলাম, এ সার্কুলারটি স্থগিত করা হোক। সে সময় শুনানিতে আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেছিল এ ধরনের সার্কুলার হয়েছে কিনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হলো, এ ধরনের কেনো সার্কুলার হয়নি।’ মনজিল মোরসেদ জানান, ‘আদালত সে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর না করে বলেছিল, তালিকা দিতে হবে। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত তাদের সময় দেয় আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ মে বিকালেই বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলারটা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেটিই রবিবার আমরা চ্যালেঞ্জ করে স্থগিত চেয়েছি। আবেদন জানিয়েছিলাম যে, সার্কুলারটা মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হোক। আদালত ২৪ জুন পর্যন্ত এ সার্কুলারের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছে। ওইদিন পরবর্তী আদেশ হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তালিকা দেওয়ার পরে।’ আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলার নিয়ে কী বলেছে- জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘মন্তব্য তো করেছে অনেক। বলেছে এ সার্কুলার বাংলাদেশ ব্যাংকের দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন। আরেকটা বলেছে যে, যারা ঋণখেলাপি, তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য ব্যাংক উঠেপড়ে লেগেছে। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পাচার করা হচ্ছে, অথচ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই। আবার যদি তারা সুযোগ পায় তাহলে তারা আরও এক লাখ কোটি টাকা নিয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর