আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার মতো অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ শেখ হাসিনার সরকার করবে না। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের সম্পাদক-লীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। সরকার খালেদা জিয়াকে জেলখানায় বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে চায় বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এতটুকু বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক নয়। খালেদা জিয়া আইনগত কারণে হয়তো কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু তাকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে হবে, এ ধরনের অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ সরকার করবে না।
তিস্তাসহ অসীমাংসিত বিষয় দ্রুত সমাধান হবে : ভারতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন। তিনি এবার স্পেকুলেশন ছাড়িয়ে গিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি সরকারের সাহসিকতা ও বিচক্ষণতায় দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। এ ধরনের কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে গেছে, আমরা আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয় সেগুলোর সমাধান যে প্রক্রিয়াটা আছে, সে প্রক্রিয়াটা আরও দ্রুত হবে। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানাবেন।
সুবিধাবাদীদের অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না : দলের কাউন্সিল ঘিরে সুবিধাবাদীরা প্রবেশ করতে পারে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, শাসক দলে সুযোগসন্ধানীরা অনুপ্রবেশ ঘটাতে চায়। তাদেরকে তা করতে দেওয়া হবে না। সুযোগসন্ধানীরা চিরদিন এটা করে থাকে।আমাদের দলের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার, পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা-কর্মীদের তৃণমূল থেকে নেতৃত্বে আনা হবে। কোথাও কোনো সুযোগসন্ধানীর স্থান হবে না। এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সম্পাদকম লীর বৈঠক হয়। বৈঠকে মুজিববর্ষ পালন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফরসহ ঈদের পরে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া মুজিববর্ষের কর্মসূচি মোটাদাগে পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনের আগে সারা দেশে তৃণমূল পর্যন্ত কমিটি গঠনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, শ ম রেজাউল করিম, মৃণাল কান্তি দাস, আবদুস সবুর, ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।