দেশে ‘নির্ভেজাল’ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, দেশ পরিচালিত হবে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। স্বাধীন দেশ শাসন করবে তারাই, যারা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সংবিধানে যে প্রতিশ্রুতিগুলো আছে তা আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দেশে নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। ড. কামাল বলেন, ‘আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সংবিধানকে সমুন্নত রেখে সংবিধানের প্রতিশ্রুতি নির্ভেজাল গণতন্ত্র, কার্যকর গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক অধিকার- এসব আমরা নিশ্চিত কবরই ইনশা আল্লাহ।’ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আবদুস সালাম, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি প্রমুখ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, পরিবেশ সংগঠন ‘বেলা’র রেজওয়ানা হাসান চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের এস এম আকবর, মমিনুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ কায়সার, আতিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম পথিক, বিএনপির শামা ওবায়েদ, জেএসডির শহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিকল্পধারার শাহ আহমেদ বাদল প্রমুখ অংশ নেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার দেশে লুটপাটের অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করছে। কোথাও শান্তি নেই, সর্বত্র সংকট। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। ওরা (সরকার) যত চালাক হোক, আমরা তার চাইতে অনেক বেশি বুদ্ধিমান, অনেক বেশি কৌশলী।’