শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

আবারও রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া ‘বিতর্কিত’দের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের ঘোষণায় আবার রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়েছে সংগঠনটির পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। রবিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে সেখানে অবস্থান নেয় তারা। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বা ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বহিষ্কার না করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। দাবি আদায় না হলে আসন্ন ঈদও সেখানেই উদযাপন করতে পারে পদবঞ্চিতরা। পদবঞ্চিতদের অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই গতকাল সকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সব নেতাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এই ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। প্রায় দশ মাস পরে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘বিতর্কিত’দের স্থান দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করে আসছে কমিটির পদবঞ্চিত একটি অংশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবারও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত ১৫ মে কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বহিষ্কার করার আশ্বাস দিলেও এগারো দিন পার হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। রবিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সবাইকে নিয়ে সোমবার সকাল ১১টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে বলে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশটি। পদবঞ্চিতরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে স্লোগান দেন। পদবঞ্চিতদের এই অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতাদের বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি করতে বলেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথাও মানেননি তারা। ২৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগের নেতারা বিতর্কিতদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিলেও বেশ কিছু দিন পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা এর প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়েছি। দুই দফা আমাদের ওপর হামলা হলেও তার সুষ্ঠু বিচার হয়নি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সবাই পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারে। কিন্তু ছাত্রলীগের ব্যানারে মাদকাসক্ত, বিবাহিত, মাদক মামলার আসামিরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে এটা আপত্তিকর। তারা এটা ঠিক করেনি।

গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে তারা। এতে ছাত্রলীগের বিগত কমিটির উপদফতর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না দেওয়া হবে ততক্ষণ আমরা রাজু ভাস্কর্যেই অবস্থান করব। আমরা ঢাকায় ঈদ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রয়োজনে ঈদের দিনও আমরা রাজু ভাস্কর্যে থাকব।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফোন করা হলেও তারা সাড়া দেননি।

সর্বশেষ খবর