মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

জোড়া সেঞ্চুরির পরও ইংল্যান্ডের হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্যারিবীয়দের গতি, সুইং ও বাউন্সে প্রথম ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়েছিল পাকিস্তান। গতকাল সেই ট্রেন্ট ব্রিজেই ‘ইউটার্ন’ ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। এবারে বিশ্বকাপে হট ফেবারিট ইংল্যান্ডকে ১৪ রানে হারিয়ে স্বস্তির জয় পেয়েছে পাকিস্তান। জোড়া সেঞ্চুরির পরও ম্যাচ জিততে পারল না ইংল্যান্ড। ব্যাটিং ‘প্যারাডাইস’ ট্রেন্ট ব্রিজে স্বাগতিক ইংলিশ বোলারদের সাধারণ মানে নামিয়ে রান বন্যায় ভাসিয়েছে পাকিস্তান। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ, অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও বাবর আজম ত্রয়ীর হাফসেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৪৮ রানের পর্বতসমান স্কোর গড়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য এ উইকেটে ৪৪৪ ও ৪৮১ রান করার রেকর্ড রয়েছে ইংল্যান্ডের। হাফিজ মাত্র ১৬ রানের জন্য ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেই ধাক্কা সামলে নিতে গতকাল দারুণ ব্যাটিং করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। শুরুতে ইমাম-উল-হক ৪৪, ফখর জামান ৩৬ রান করে দলকে শক্ত ভিত দেন। এরপর বাবর, হাফিজ ও সরফরাজ দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করে দলকে ৩৪৮ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। ওয়ানডাউনে খেলতে নেমে বাবর ৬৩ রান করেন ৬৬ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায়। সাবেক অধিনায়ক হাফিজ ৮৪ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটি খেলেন ৬২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায়। অধিনায়ক সরফরাজের ৫৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪৪ বলে ৫ চারে। ৩৪৯ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ইংলিশরা ভালোই জবাব দিচ্ছিল। ১১৮ রানের মাথায় ৪ উইকেট পড়ে গেলেও রুট ও বাটলারের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড জিতে যাবে। কিন্তু রুটের ১০৭ ও বাটলারের ১০৩ রানে জোড়া সেঞ্চুরির পরও তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করে। ওহাব রিয়াজ ৮২ রানে ৩, সাদাব খান ৬৩ রানে ২ ও মোহাম্মদ আমির ৬৭ রানে ২ উইকেট পান। ৮৪ রান ও ১টি উইকেট পাওয়ার সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হাফিজ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর