শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

হাসপাতালে ঈদের দিন স্বজনদের সঙ্গে খেলেন খালেদা

অনুমতি পাননি নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবারের ঈদে স্বজনদের নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে গত বুধবার প্রথমবারের মতো ঈদ করেন তিনি। কেবিন ব্লকের ষষ্ঠ তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ঈদের দিন তাঁর সঙ্গে হাসপাতালেই দেখা করেন পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দেখা করার অনুমতি পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য এবার বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে যান তাঁর স্বজনরা। বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান বড় বোন সেলিনা ইসলাম, তার স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ভাই প্রয়াত সাইদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের ছেলে অভীক এস্কান্দার এবং ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকের মেয়ে তামান্না হক, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু এবং প্রয়াত আরাফাত রহমানের শাশুড়ি মোখরেমা রেজা। দুপুর ১টায় খালেদা জিয়ার এই সাত স্বজনকে বিএসএমএমইউর ছয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। দাফতরিক প্রক্রিয়া সেরে খালেদা জিয়ার কেবিনে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয় এবং সাক্ষাৎ শেষে বিকাল পৌনে তিনটার দিকে তারা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। খালেদা জিয়ার স্বজনরা তাঁর জন্য হাসপাতালে পোলাও, মুরগির রোস্ট, রেজালাসহ বিভিন্ন মাছের ভাজা, দুধ-সেমাই ও মিষ্টি নিয়ে যান। এ সময় গোলাপ ফুলের তোড়াও ছিল তাদের হাতে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও অনুমতি পাননি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের বিএসএমএমইউ শাখার সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সেলিমসহ কয়েকজন চিকিৎসক ও কর্মচারী দুপুর ১২টার দিকে একটি ফুলের তোড়া নিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখতে যেতে চাইলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দেয়। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গত দুটি ঈদ পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি কক্ষে কাটলেও এবার কেটেছে হাসপাতালে। কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকাকালে গত কোরবানির ঈদের দিন আত্মীয়স্বজনদের খাবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় দিনভর উপোস করেন বেগম খালেদা জিয়া। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএসএমএমইউতে তাঁর কেবিনে একটি চেয়ার, একটি টেবিল, একটি  বেড, ছোট্ট একটি ড্রেসিং টেবিল রয়েছে। গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম থাকেন পাশের আরেকটি কক্ষে। এই ফাতেমাই সেখানে তাঁর সেবা-শুশ্রƒষা করেন।

সর্বশেষ খবর