শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

জয়শংকর ঢাকা আসছেন শিগগিরই

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

জয়শংকর ঢাকা আসছেন শিগগিরই

ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শংকর শিগগিরই ঢাকা সফর করবেন। প্রতিবেশী প্রথম নীতি অনুযায়ী তিনি ৭-৮ জুন প্রথম বিদেশ সফর করছেন ভুটানে। সরকারি সূত্র জানায়, জয়শংকর প্রতিবেশী সব দেশই সফর করবেন। এখনো তার ঢাকা সফরের দিন স্থির হয়নি। তবে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সফর করতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার তিনি প্রথম প্রকাশ্য আলোচনাচক্রে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি করাই হবে নতুন মোদি সরকারের উদ্দেশ্য। যাতে ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোও লাভবান হয়।’ ভুটান সফরের সময় তার আলোচ্য অন্যতম বিষয় হলো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ এবং সেই থেকে প্রতিবেশী দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে প্রত্যেকটি দেশ লাভবান করা।

জয়শংকর স্বীকার করেন, বর্তমানে সার্ক মঞ্চ সফল হচ্ছে না। এ কারণে ভারত বিমসটেকভুক্ত মঞ্চকে অগ্রাধিকার দিতে চায়। সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় অভিষেকের অনুষ্ঠানে বিমসটেক দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি জানান, ভারত এবার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো এবং উচ্চতর পর্যায়ে সফর বিনিময়ে গুরুত্ব দেবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য অদূর ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভুটান সফরের প্রস্তুতি। আগামী ৮-৯ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদি তার প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাকে বেছে নিয়েছেন। সেখান থেকে ফেরার পর ১৩-১৪ জুন কিরগিজস্তানের বিসকেকে সাংহাই সহযোগিতার শিখর শীর্ষ বৈঠক। সেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উপস্থিত হলেও কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে না বলে পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভীশ কুমার জানিয়েছেন। তবে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হবে। ২৬-২৭ জুন প্রধানমন্ত্রী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যাবেন জাপানের ওসাকায়। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এই সফরগুলোর পরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরের ঢাকা সফরের সূচি চূড়ান্ত হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

মোমেনকে জয়শংকরের চিঠি : বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনকে ৪ জুন লেখা এক চিঠিতে জয়শংকর বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে অংশীদারিত্বকে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-নির্ধারিত লক্ষ্যে ভারত নিয়ে যেতে চায়।

চিঠিতে বলা হয় : নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সম্পর্ক গভীর সম্পর্কে রূপ নিয়েছে। এস জয়শংকর লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনালগ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারিত্বের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দুই দেশের অংশীদারিত্বকে সে পর্যায়ে নিয়ে যেতে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ।’ জয়শংকর বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সম্পর্ক গভীর সম্পর্কে রূপ নিয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজ্ঞ ও দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়েছে। গত মাসে ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সও জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছে। এ দুই ঘটনা দুই দেশের সুদৃঢ় অংশীদারিত্বের প্রতি উভয় দেশের জনগণের ব্যাপক সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ।

সর্বশেষ খবর