রবিবার, ৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজারে যেভাবে কারসাজি করছে সিন্ডিকেট

আলী রিয়াজ

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অত্যাধুনিক সার্ভিলেন্স সফটওয়্যারের দুর্বলতায় কারসাজি করে পার পেয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট। কারসাজিকারীরা সহজেই বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন করতে পারছে। এতে তারা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কিছু কোম্পানির শেয়ারের দরে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন হয়েছে। যেখানে কারণ ছাড়া কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারদর ৩৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে কারা জড়িত তা নির্ণয় করতে পারেনি কমিশনের সার্ভিলেন্স বিভাগ। চলতি বছর শুরু থেকে ১৩ মের মধ্যে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন হয়েছে এমন কোম্পানিগুলো হচ্ছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, ডাচ্্-বাংলা ব্যাংক, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ইনটেক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্্ল্্, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়াটা কেমিক্যাল ও রহিম টেক্সটাইল। কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্তেও এসব কোম্পানির শেয়ারদরে অস্বাভাবিক উত্থানের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ডিএসই কর্তৃপক্ষ সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্্ল্্, ওয়াটা কেমিক্যাল ও ইউনাইটেড পাওয়ারের দরের অস্বাভাবিক উত্থানের কোনো কারণ খুঁজে পায়নি। সেকেন্ডারি মার্কেটে কারসাজির কারণে ২০১০ সালে কেলেঙ্কারি হয়েছিল। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে তদন্ত রিপোর্টে তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। গত কয়েক মাসের পতনেও সেকেন্ডারি মার্কেটে কারসাজির বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। বিএসইসি কর্তৃপক্ষ শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে একাধিকবার কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানা করেছে। তবে ১০ লাখ টাকা কারসাজি করে হাতিয়ে নিলেও জরিমানার পরিমাণ ছিল মাত্র ১ লাখ টাকা। আর এমনটি হওয়ায় কারসাজি থামছেই না। জানতে চাইলে ২০১০ সালে শেয়ার কারসাজির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রধান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘কারসাজিকারীরা সব সময় সক্রিয় শেয়ারবাজারে। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তারা নানা অনিয়ম করবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাবে, প্রয়োজনে শেয়ারবাজার থেকে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর