সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

পলাতক, তাই ওসি মোয়াজ্জেমকে খুঁজে পেতে সময় লাগছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে শাস্তি পেতেই হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কেউ পলাতক হলে তাকে খুঁজে বের করতে সময় লাগে। এ কারণে ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। ঈদের ছুটির পর গতকাল প্রথম কার্যদিবসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয়ে কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার একপর্যায়ে সাংবাদিকরা তার কাছে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নুসরাত হত্যাকান্ডের ঘটনায় মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি যতটুকু অপরাধ করেছেন সে অনুযায়ী তার বিভাগ এবং আদালত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা মনে করি কেউ আইনের বাইরে নয়- তিনি ওসি হোক আর যে কোনো ধরনের কর্মকর্তা হোক বা যে-ই হোক। জনপ্রতিনিধিও যদি হন, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।

পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানের পাইলটের কাতারে চলে যাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাইলটদের ইমিগ্রেশন অন্যভাবে হয়। তাদের পাসপোর্টে সিল দেওয়া হয় না। একটা ডিক্লারেশন স্লিপ তাদের দেওয়া হয়। স্লিপটা পাইলটরা ইমিগ্রেশনে জমা দেন। যেখানে তারা যান সেখানেও তারা শুধু স্লিপটা জমা দেন। ওই স্লিপেই তাদের সব ধরনের তথ্য থাকে। তারপরও পাইলটদের সঙ্গে পাসপোর্ট রাখার কথা। যখন যেখানে যে দেখতে চাইবেন তখনই তাকে পাসপোর্ট দেখাতে তারা বাধ্য। 

মন্ত্রী বলেন, পাইলট ফজল মাহমুদ ভুল করে পাসপোর্ট রেখে গিয়েছিলেন। এখানে কার কার দুর্বলতা রয়েছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে সবার প্রশ্ন- ইমিগ্রেশন কীভাবে পার হলো? তিনি বলেন, আমরা জেনেছি ইমিগ্রেশনে পাইলট সঠিকভাবে স্লিপটি জমা দিয়েছেন। তার ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেওয়া হয়েছে সঠিকভাবে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল পাসপোর্ট সঙ্গে আছে কিনা। কিন্তু ইমিগ্রেশনে যে কর্মকর্তা কাজ করছিলেন তার উচিত ছিল পাসপোর্ট দেখা। তিনি তা না করে গাফিলতি করেছেন। সেজন্য ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা এবং অন্য এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, এ ক্ষেত্রে আর কার গাফিলতি আছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আমার মনে হয় আরও একটু কেয়ারফুল হলে এ ঘটনাটা ঘটত না। তদন্ত কমিটির মূল্যায়নের পরে আমরা পুরো বিষয়টি বুঝতে পারব। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ইমিগ্রেশনে অনেক ক্ষেত্রে প্রবাসীদের হয়রানির শিকার হতে হয়- এমন অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইমিগ্রেশনে আমরা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেইস করি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রাভেল পাস নিয়ে ফিরে আসছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদেরকে তথ্য দিচ্ছে, তারা বিভিন্ন দেশে দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সিরিয়া বা বাগদাদে আইএসের হয়ে যুদ্ধ করেছেন এমন লোকও বাংলাদেশে চলে আসতে পারে বলে সতর্কবার্তা পাওয়া গেছে। সে জন্য ট্রাভেল পাস নিয়ে যারা আসছেন, তারা কোনো জঙ্গি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল কিনা, এটা নিশ্চিত হতে একটু যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত না অন্য দেশের, তা নিশ্চিত হতে একটু কড়াকড়ি করতে হচ্ছে। তাই সঙ্গত কারণেই ট্রাভেল পাসধারীদের একটু ঝামেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে হায়রানি করে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর